খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয়

আপনি কি জানেন খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয়। খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয় তা জানতে চাইলে আমাদের আজকের আর্টিকেল টি মনযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আজকের আর্টিকেলে জানতে পারবেন খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয়। 

আমরা প্রায়ই বুঝে উঠি না খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয়। বা কি বলবো। যারা জানেন না খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয় তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি লিখেছি।

পেজ কনটেন্ট সূচিপত্র: খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয় 

আলহামদুলিল্লাহ এর জবাবে কি বলতে হয় 

আলহামদুলিল্লাহ শব্দটি এসেছে আরবি একটি বাক্যের অংশ থেকে। এর অর্থ হলো সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর। সাধারণত আল্লাহ তায়ালাকে ধন্যবাদ দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা এই শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। আল্লাহতালার প্রশংসা করলে তিনি খুশি হন। শুধু প্রশংসাই নয় বরং আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার উদ্দেশ্যেও এই শব্দ টি ব্যবহার করা হয়। 

আমর অনেকেই জানি না আলহামদুলিল্লাহ এর জবাবে কি বলতে হয়। আমারা সাধারণত আামাদের নিজেদের বা অন্য কারো কোন খুশির খবর শুনে আলহামদুলিল্লাহ বলি। আলহামদুলিল্লাহ বলার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা খুশি হবেন এবং আমরাও সওয়াব পাবো। যেমন ধরুন হাঁচি দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে অনেক জীবাণু বের হয়ে যায়। এজন্য আমরা আলহামদুলিল্লাহ বলে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।

আলহামদুলিল্লাহ বলার মাধ্যমে আপনি সওয়াব পাবে। আলহামদুলিল্লাহ বলে জিকির ও করা যায়। জীবনে আমরা যা কিছু পেয়েছি তার জন্য সবসময় আলহামদুলিল্লাহ বলতে হবে। প্রকৃত মুসলমান হতে হলে আমাদের জীবনের প্রতিটি অবস্থায় আলহামদুলিল্লাহ বলতে হবে। আমরা যে সকল জিনিস আল্লাহর কাছে চাওয়া সত্ত্বেও পাইনি তার জন্যও আলহামদুলিল্লাহ বলতে হবে। কারণ আমাদের এটা বিশ্বাস করতে হবে যে যেটা চেয়েছি সেটা নিশ্চিই আমাদের জন্য বিপদ বয়ে আনতো তাই হয়তো আল্লাহ দেননি। আল্লাহ যা কেন আমাদের ভালোর জন্যই করেন। 

আরো পড়ুন: শরীরে সাদা দাগ কেন হয় - শরীরের সাদা দাগ থেকে মুক্তির উপায়

আলহামদুলিল্লাহ এর জবাবে কি বলতে হয় সম্পর্কে এতক্ষণ বলা হয়েছে। আশাকরি জানতে পেরছেন আলহামদুলিল্লাহ এর জবাবে কি বলতে হয়। 

শুকরিয়ার জবাবে কি বলতে হয়

সাধারণত কারো কোনো উপকারের মাধ্যমে আমরা যদি উপকৃত হই তাহলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য শুকরিয়া বলে থাকি। হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, "যদি কোন ব্যক্তি তার উপর কল্যাণকারী ব্যক্তিকে জাযাকুমুল্লাহ খায়রান বলেন তাহলে করবে ওই ব্যক্তি সর্বোত্তম পদ্ধতিতে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবে। আমাদের নবীজি সাঃ আমাদের কে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে বলেছেন। কেউ যদি আমাদেরকে উপকার করেন তাহলে আমাদেরও উচিত তাকে উপকার করা। কিন্তু সে যেই উপকারটি করেছে ঠিক তখনই আমাদের ওই একই উপকার করে দেওয়া সম্ভব হয় না বা প্রয়োজন পড়ে না। এজন্য আমরা তখনই যেটা করতে পারি সেটা হল কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। 

আমরা সাধারণত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করার জন্য শুকরিয়া বা ধন্যবাদ বলে থাকি। কিন্তু আমরা যদি আমাদের প্রিয় নবী সাঃ এর শেখানো পদ্ধতিতে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি তাহলে মন্দ কিসে। এজন্য কারো প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায়ের জন্য জাযাকুমুল্লাহ খায়রান বলাই উত্তম। 

আরো পড়ুন: নখের কালো দাগ দূর করার উপায়

শুকরিয়ার জবাবে কি বলতে হয় তা সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ জেনেছি। শুকরিয়ার জবাবে কি বলতে হয় আশা করি তা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। 

খুশির সংবাদের দোয়া  

হযরত আবু বকর রাঃ আনহু হতে বর্ণিত,

"নবীজি সাঃ যদি কোন খুশির সংবাদ পেতেন তাহলে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়ার উদ্দেশ্যে সেজদায় লুটিয়ে পড়তেন।" 

আমরা সাধারণত কোন খুশির সংবাদ পেলে আলহামদুলিল্লাহ বলি। আলহামদুলিল্লাহ বলেও আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা যায়। এটি খুশির সংবাদের দোয়া। তবে আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো সেটাই লুটিয়ে পড়া। খুশির সংবাদের দোয়া এর জন্য আমরা সেজদায় লুটিয়ে পড়তে পারি। 

খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয়

হাসি-কান্না আনন্দ বেদনা নিয়ে আমাদের এই জীবন। হাসি কান্না সবসময় ই আমাদের উচিত আল্লাহ তায়ালা কে স্মরণ করা। আনন্দে একেবারে কখনোই আত্মহারা হয়ে যাওয়া যাবে না আবার কষ্টেও কখনো একবারেই ভেঙে পড়া যাবে না। ঠিক তেমনি আমরা যারা জানি না যে খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয় তারা এখন জানতে পারবেন খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয়। খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয়: 

খুশির সংবাদ শুনলে আমাদের নবীজি সাঃ সর্বদা দুটি কাজ করতেন। একটি হলো সিজদায় লুটিয়ে পড়া এবং অপরটি হলো 'আল্লাহ হু আকবর' বলা। তাহলে আমরা খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয় হবে? আমরা খুশির সংবাদ শুনলে আল্লাহ তায়ালার সিজদায় লুটিয়ে পড়তে পারি অথবা আল্লাহ হু আকবর বলতে পারি। এছাড়া এসব কিছুই করতে হবে আমাদের আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য, শুকরিয়া আদায়ের জন্য।   

মাশাআল্লাহ কখন বলতে হয় 

মাশাআল্লাহ শব্দটি আরবি বাক্যাংশ হতে এসেছে। মাশাআল্লাহ শব্দটির অর্থ হলো আল্লাহ তায়ালা যা ইচ্ছা করেছেন। মাশাআল্লাহ এটি বহু প্রচলিত শব্দ। আমরা এই শব্দটি প্রায়ই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমারা প্রায় মানুষ ই জানি না যে মাশাআল্লাহ কখন বলতে হয়। তাই এখন আমি বলবো মাশাআল্লাহ কখন বলতে হয়। মাশাআল্লাহ কখন বলতে হয়: 

আমাদের নবীজি সাঃ প্রশংসার বহিঃপ্রকাশ বা ভাল যে কোনো কিছু দেখলে মাশাআল্লাহ বলতে বলেছেন। ৩ টি জায়গায় মাশাআল্লাহ বলতে হয়। যথা: কারো সফলতা দেখে, কাউকে ভালো কোনো কাজ করতে দেখলে এবং কারো সুন্দর কিছু দেখলে। আর কারো সুন্দর কিছু দেখে মাশাল্লাহ বললে তাতে কোনে বদনজর লাগে না। এবং তা হতে শয়তানের প্রভাব চলে যায়। কেউ যদি মাশাল্লাহ বলেন তাহলে আপনি আলহামদুলিল্লাহ বা সুবহানাল্লাহ বলতে পারেন। 

ইনশাআল্লাহ কখন বলতে হয় 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি কাজে আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ সুবহানাল্লা, আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আল্লাহকে স্মরণ করতে পারি। ইনশাআল্লাহ শব্দটির অর্থ হলো আল্লাহ তায়ালা যদি চান। ইনশাআল্লাহ কখন বলতে হয় সুবহানাল্লাহ কখন বলতে হয় যদিও তা কোনো মুসলমানের ই অজানা নয়। তারপরও যারা জানেন না ইনশাআল্লাহ কখন বলতে হয়। সুবহানাল্লাহ কখন বলতে হয় তারা এই ধাপে দেখে নিন। ইনশাআল্লাহ কখন বলতে হয়: 

ভবিষ্যতে আমরা কোনো কাজ করবো সেটা  আগে যখন কাউকে জানাই তখন আমারা ইনশাআল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। আামরা ভবিষ্যতে বেঁচে থাকবো কি না বা যে কাজ টি ভবিষ্যতে করবো বলে আশা করে রেখেছি তা করতে পদরবো কি না তা নিশ্চিত হয়ে বলা যায় না। সব ই মহান রাব্বুল আলামিন জানেন এবং সবই তার হাতে। এজন্য আমরা সবসময় বলবো যে আল্লাহ যদি চান অর্থাৎ ইনশাআল্লাহ।

সুবহানাল্লাহ কখন বলতে হয়

সুবহানাল্লাহ শব্দটির অর্থ হলো আল্লাহ তায়ালা পবিত্র ও সুমহান। সুবহানাল্লাহ শব্দ টি আমরা প্রায়ই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমারা কি জানি সুবহানাল্লাহ কখন বলতে হয়। এখন আমি বলবো সুবহানাল্লাহ কখন বলতে হয়। সুবহানাল্লাহ কখন বলতে হয়: 

আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির সৌন্দর্য দেখে সুবহানাল্লাহ বলতে হয়। আল্লাহ তায়ালার অশেষ কোনো নিয়ামত দেখলে সুবহানাল্লাহ বলতে হয়। সুবহানাল্লাহ বলে জিকিরও করা যায়। দুটি বাক্য রয়েছে যা আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয়। এ দুটি বাক্য হলো: 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।' 

আরো পড়ুন: দাঁতের পাথর দূর করার উপায়

যদি এই দুটি বাক্য কেউ ১০০ বার করে পাঠ করেন তাহলে তার থেকে বেশি আমল নিয়ে কেউ কেয়ামতের দিন উপস্থিত হতে পারবেন না। আবার অন্য এক বর্ণনা হতে জানা গিয়েছে যে, ঐ লোক টি যদি সমুদ্রের ফ্যানার সমান ও পাপ করে থাকেন তাহলেও তাকে আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন। 

শেষ কথা: খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয়

জীবনের প্রতিটি ধাপেই আমাদের আল্লাহ তায়ালা কে স্মরণ করতে হবে। সবসময় আামাদের কে আল্লাহ তায়ালার জিকিরে মশগুল থাকতে হবে। আমাদের আজকের পোস্টে আমরা জেনেছি খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয়। আশাকরি পোস্টটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন খুশির সংবাদ শুনলে কি বলতে হয়। পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আমাদের আজকের পোস্টটি এই পর্যন্ত ই। ২২০৭০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url