দাঁতের পাথর দূর করার উপায় - দাঁতের পাথর দূর করার ঔষধ

দাঁতের পাথর দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা অনেকেই দাঁতের পাথর দূর করার উপায় এ সমস্যায় ভুগে থাকি এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকি দাঁতের পাথর দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য।

আপনি যদি সম্পূর্ণ আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে দাঁতের পাথর দূর করার উপায় ও দাঁতের পাথর দূর করার ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক দাঁতের পাথর দূর করার ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

পেজ সূচিপত্রঃ দাঁতের পাথর দূর করার উপায় - দাঁতের পাথর দূর করার ঔষধ

ভূমিকা

দাঁত মানব শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের শরীরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পতঙ্গের মধ্যে অন্যতম একটি অঙ্গ। যদি আমাদের দাঁত না থাকতো তাহলে আমরা কোন খাবার চিবিয়ে খেতে পারতাম না। দাঁত থাকার জন্য আমরা সব ধরনের খাবার চিবিয়ে খেতে পারি। দাঁত নিয়ে নানা রকম সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। কথায় আছে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝেনা তার মত বোকা আর এই পৃথিবীতে নেই। কারণ হচ্ছে অনেকেই মনে করেন দাঁতের যত্ন করতে হবে না। যেমন আছে তেমনই ভালো এবং তাতে কোন ক্ষতি নেই। তাই আমাদের দাঁতের পাথর দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা খুব জরুরী।

দাঁতের যত্ন না করলে দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি সমস্যা আছে দাঁতে পাথর হওয়া। আমাদের অনেকের দাঁতে এক ধরনের হলুদ বা বাদামী রঙের প্রলেপ দেখা যায় এটাকে দাঁতের পাথর পড়া বলে। ইংরেজিতে এটাকে বলে টার্টার। সাধারণত মানুষের দাঁত ও মাড়ির অপরিভাগ মসৃণ থাকে কিন্তু প্রতিনিয়ত খাবার খাওয়ার পর সেই খাবার দাঁত ও মাড়ির উপর জমা হয় সাময়িক সময়ের জন্য। স্বাভাবিক নিয়মে লালার মাধ্যমে কিছুটা জমে থাকা খাবার পরিষ্কার হয়ে যায় বাকিটা সঠিক নিয়মে ব্রাশ ও ফিশিং এর মাধ্যমে পরিষ্কার করতে হয়।

দাঁতের পাথর দূর করার উপায়

প্রতিদিনের খাবার খাওয়ার পর নিয়মিত ব্রাশ করলেও খাদ্য কণা পুরোপুরি পরিষ্কার হয় না, ধীরে ধীরে এক এই খাদ্য কণা একটা আবরণ দাতের উপর পড়তে থাকে। আস্তে আস্তে মাসের পর মাসটা শক্ত হয়ে উঠে তখন তাকে আমরা ডেন্টালের ভাষায় বলি ক্যালকুলাস। এবং বাংলায় বলি দাঁতের পাথর। দাঁতের পাথর দূর করার জন্য আমাদের অবশ্যই জেনে থাকতে হবে দাঁতের পাথর দূর করার উপায় ও দাঁতের পাথর দূর করার ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক দাঁতের পাথর দূর করার উপায়।

বিডিএস ডিগ্রি প্রাপ্ত কোন ডেন্টাল সার্জনের কাছে গিয়ে স্পেলিং এবং পলিসিং করিয়ে নিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। প্রতি ৬ মাস পরপর ডেন্টাল সার্জনের কাছে গিয়ে পুরো মুখের চেকআপ করালে উনি আপনাকে সাজেশন দেবেন ৬ মাস পরপর স্কেলিং না করালে ন্যূনতম বছরে একবার স্কেলিং এবং পলিসিং করিয়ে নেওয়া উচিত এতে দাঁত সুস্থ থাকে রক্তক্ষরণ হয় না। তবে ডেন্টাল সার্জনের কাছে রুটিন চেকআপ করানোর পাশাপাশি বাসায় নিজের দাঁতের যত্ন নিতে হবে। নিয়মিত দুবেলা ব্রাশ করতে হবে সকালে ব্রেকফাস্ট এর পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। এর পাশাপাশি ডেন্টাল ফ্লসিং ব্যবহার করা উচিত। এতে করে যেসব খাদ্য কোনা ব্রাশেও পরিষ্কার হয় না তা অনেকটাই ক্লোজিং এ দূর হবে।

দাঁতের পাথর দূর করার ঔষধ

আমরা অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকি। এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকে দাঁতের পাথর দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য। দাঁতের পাথর দূর করার কোন ঔষধ নেই তবে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চললে এটি ভালো হয়ে যায়। কাপে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে ১/২ চা চামচ লবণ মেশান। এবার গরম পানিতে টুথব্রাশ ভিজে বেকিং সোডা ও লবণের মিশ্রণ দিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করুন। সবশেষে কুলকুচি করে নিন। এক কাপ হাইড্রোজেন পেরোক্সাইডের সঙ্গে ১/২ কাপ হালকা গরম পানি মেশান এই পানি মুখে নিয়ে এক মিনিট রাখুন এরপর ১/২ কাপ পানি নিয়ে কুলকুলি করে ফেলুন।
দাঁতের পাথর দূর করার কিছু নিয়ম-
  1. সঠিক নিয়মে প্রতিদিন দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করা উচিত।
  2. তিনি যুক্ত পানীয় বা আঠালো খাবার বা কফি ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত।
  3. খাওয়ার পর কুলি করে মুখ ধুয়ে ফেলা দরকার।
  4. শুধু ব্রাশ নয় সুতো বা ফ্লোস দিয়ে দাঁতের ফাঁক পরিষ্কার করা উচিত।
  5. ধুমপান বর্জন করা দরকার।
  6. আর অবশ্যই ক্যাভিটি প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত দাঁত পরীক্ষা করা আবশ্যক।
  7. ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খান বিশেষ করে দুধজাত খাবার খেতে হবে নিয়মিত।

দাঁতের পাইরিয়া দূর করার উপায়

দাঁতের পাথর দূর করার উপায় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আমাদের জানতে হবে দাঁতের পাইরিয়া দূর করার উপায় সম্পর্কেও। পায়োরিয়া সাধারণত দাঁতের চারপাশের কোষে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়। এ অবস্থায় ঝুঁকি হলো ধূমপান করা যাদের বহুমূত্র রোগ রয়েছে, এইডস আক্রান্তের এবং কিছু ঔষধে। চিকিৎসার মাঝে রয়েছে মুখ ভালো পরিষ্কার রাখা এবং নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রাখা। মুখ পরিষ্কারের নিয়ম অনুসারে নিয়মিত দাঁত মাজতে হবে। পায়োরিয়া হল দাঁতের এক ধরনের রোগ। যা দাঁতের আশেপাশের কোষ কলা কে আক্রান্ত করে। এটির প্রথম স্তরে এটিকে গঙ্গিভিটিস বলা হয়, যখন মারে ফুলে যায় লাল হয় এমনকি রক্ত পড়তে পারে। এটির গুরুত্বপূর্ণ অবস্থাকে বলা হয় - পেরিযোডোন্টিটিস। এ সময় মারি দাঁত থেকে সরে যেতে পারে হাড় ক্ষয় হয় এবং দাঁতও পড়ে যায়। মাঝে মাঝে মুখের স্বাদে দুর্গন্ধ থাকতে পারে।

দাঁতের পাইরিয়া দূর করার উপায় হল-
  1. বেকিং সোডা- দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিন এর মধ্যে এক টেবিল চামচ লবণ নিন, টুথব্রাশের মধ্যে মিশ্রণটিকে লাগান এবং ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করুন এরপর উষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অথবা টুথব্রাশের মধ্যে সামান্য পরিমাণ বেকিং সোডা নিন এবার দাঁত মাজন। পদ্ধতি গুলো যেকোনো একটি শব্দ ১ থেকে ২ বার ব্যবহার করুন তবে খুব বেশি বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না এতে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।
  2. এলোভেরা- এলোভেরা কে মাঝখান থেকে কেটে এর ভেতরে শাসটি বের করুন। এটি দাঁত ও মাড়িতে সরাসরি লাগান ১০ মিনিট রাখুন এরপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন দিনে দুবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।

দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়

আমাদের অতি মূল্যবান সম্পদ হলো দাঁত বর্তমানে দাঁত ক্ষয় ও দাঁতের ছিদ্র হয় একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত শিশুর, টিনেজার ও বয়স্কদের এই সমস্যাটি বেশি হতে দেখা যায়। তাই আমাদের দাঁতের পাথর দূর করার উপায় - দাঁতের পাথর দূর করার ঔষধ সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের ফলেই দাঁত ক্ষয় হয়ে থাকে। ঘনঘন স্ন্যাকস ও ড্রিংকস খাওয়া অনেকক্ষণ দাঁতের মধ্যে খাবার লেগে থাকা ফ্লোরাইড এর অপর্যাপ্ততা, মুখ ড্রাই থাকা এবং মুখের স্বাস্থ্যবিধি না মানা ইত্যাদি কারণে দাঁতে গর্ত ও দাঁত ক্ষয় রোগ হয়ে থাকে।

দাঁতের মধ্যে নানা কারণে গর্ত হতে পারে যেমন দন্তক্ষয় বা ডেন্টাল ক্যারিজ, দাঁত ভেঙে গিয়ে কিংবা রুট কেনেল চিকিৎসা জন্য গর্ত হয়ে যায় দাঁত। দাঁতের জমা হলুদ শক্ত টার্টার বা দাঁতের পাথর হয় অনেকের। এই পাথর পরিষ্কার করতে প্রথম সমাধান হলো ডেন্টিস্ট এর কাছে যাওয়া তবে আপনি চাইলে বাড়িতে বসেও এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায় হল-
  1. বেকিং সোডা- দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিন এর মধ্যে এক টেবিল চামচ লবণ নিন, টুথব্রাশের মধ্যে মিশ্রণটিকে লাগান এবং ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করুন এরপর উষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অথবা টুথব্রাশের মধ্যে সামান্য পরিমাণ বেকিং সোডা নিন এবার দাঁত মাজন। পদ্ধতি গুলো যেকোনো একটি শব্দ ১ থেকে ২ বার ব্যবহার করুন তবে খুব বেশি বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না এতে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।
  2. ডেন্টাল পিক- ডেন্টাল পিক দিয়ে দাঁতের হলুদ টার্টার ধীরে ধীরে ঘষে তুলুন। মাড়ির ক্ষতি এড়াতে ডেন্টাল পিক ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
  3. হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড- এক কাপ হাইড্রোজেন পেরোক্সাইডের সঙ্গে ১/২ কাপ হালকা গরম পানি মেশান এই পানি মুখে নিয়ে এক মিনিট রাখুন এরপর ১/২ কাপ পানি নিয়ে কুলকুলি করে ফেলুন।
  4. অ্যান্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ- এন্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করুন নিয়মিত।
  5. ব্রাশ- দাঁত পরিষ্কারের জন্য নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন। দাঁত ব্রাশের সময় ওপর নিজ ব্রাশ করুন খেয়াল রাখুন মারি ও দাঁতের মধ্যবর্তী অংশ যেন পরিষ্কার হয়।
  6. ডেন্টাল ফ্লস- নিয়মিত ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন। 
  7. লবণ- দাঁতের গর্ত দূর করতে লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করে নিতে পারেন।

দাঁতের পাথর কেন হয়

নিয়মিত ব্রাশ না করার কারণে দাঁতে পাথর জমা বা গাম তৈরি হওয়ার মূল কারণ। আরো একটি বিষয়ে জাঙ্ক ফুড খাওয়া ও কোল্ড ড্রিংকস পান করা। নিয়মিত কোল্ডিং রাতের এনামেল ক্ষয় করতে থাকে।স্টিকি ফুট বাদ জাঙ্ক ফুড খেলে কেভিটির আশঙ্কা ও বারে বহু গুনে। সঠিক উপায় নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করলে অথবা দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকলে দাঁত ও মাড়ির মধ্যকার স্থানে জীবাণুর সংক্রমণে প্লাক ও পরে পাথর হতে পারে। এর থেকে ব্যাকটেরিয়া ও তাদের তৈরি ক্ষতিকারক পদার্থ সংক্রমণে মারি ও হাড় থেকে দাঁতের বন্ধন নষ্ট করে তার দুর্বল করে দেয়। দাঁতের পাথর কেন হয় এ সম্পর্কে জানার পরে অনেকেই দাঁতের পাথর দূর করার ঔষধ এ বিষয়ে জানতে চাই যা ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি।

দাঁতের স্পেলিং খরচ কত

আপনার দাঁতের গোড়ায় জমে থাকা ফ্ল্যাট ক্যালকুলাস (দাঁতের চারপাশে জমা পাথর) এক বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে দূর করে। দীর্ঘদিন এরকম জমে থাকা ব্ল্যাক ক্যালকুলাস যদি দূর করা না যায় তবে তা দাঁতের সংক্রমণে সৃষ্টি করে ফলেমারি নরম হয়ে যায় যার পরিণতিতে জিনজিভাইটিস পেরিওডটাইটিস রোগ দেখা দেয় এমন কি দাঁত পড়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি দাঁতের পাথর দূর করার উপায় - দাঁতের পাথর দূর করার ঔষধ সম্পর্কে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক দাঁতের স্পেলিং খরচ কত।

দাঁতের স্পেলিং খরচ সম্পূর্ণ ডাক্তারের ওপরে তিনি কত নিবেন তবে মোটামুটি ধরে নিতে পারেন বেসরকারি চেম্বার গুলোতে সাধারণত দাঁতের পরিস্থিতি ভেদে ফিলিং ১ হাজার টাকা, স্কেলিং দেড় হাজার টাকা, রুট ক্যানেল চার হাজার টাকা, দাত লাগানো ২ হাজার টাকা, ক্যাপ লাগানো (মিসিং দাঁতের ক্ষেত্রে) ১৫-৩০ হাজার টাকা নেয়া হয়। এ ছাড়া ইমপ্লট করতে ৫০-৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়।

দাঁতের হলুদ দাগ দূর করার উপায়

আমাদের অনেকের দাঁতে এক ধরনের হলুদ বা বাদামী রঙের পলেপ দেখা যায়। এটাকে দাঁতের পাথর বলা হয়। আর ইংরেজিতে এটাকে বলে  টার্টার। আপনি চাইলে ঘরে বসেও সমস্যাটি সমাধান করতে পারেন। এতক্ষন আমরা আলোচনা করলাম দাঁতের পাথর দূর করার উপায় - দাঁতের পাথর দূর করার ঔষধ সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক দাঁতের হলুদ দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে।
দাঁতের হলুদ দাগ দূর করার উপায় হল-
  1. বেকিং সোডা- দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিন এর মধ্যে এক টেবিল চামচ লবণ নিন, টুথব্রাশের মধ্যে মিশ্রণটিকে লাগান এবং ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করুন এরপর উষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অথবা টুথব্রাশের মধ্যে সামান্য পরিমাণ বেকিং সোডা নিন এবার দাঁত মাজন। পদ্ধতি গুলো যেকোনো একটি শব্দ ১ থেকে ২ বার ব্যবহার করুন তবে খুব বেশি বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না এতে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।
  2. ডেন্টাল পিক- ডেন্টাল পিক দিয়ে দাঁতের হলুদ টার্টার ধীরে ধীরে ঘষে তুলুন। মাড়ির ক্ষতি এড়াতে ডেন্টাল পিক ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
  3. হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড- এক কাপ হাইড্রোজেন পেরোক্সাইডের সঙ্গে ১/২ কাপ হালকা গরম পানি মেশান এই পানি মুখে নিয়ে এক মিনিট রাখুন এরপর ১/২ কাপ পানি নিয়ে কুলকুলি করে ফেলুন।
  4. অ্যান্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ- এন্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করুন নিয়মিত।
  5. ব্রাশ- দাঁত পরিষ্কারের জন্য নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন। দাঁত ব্রাশের সময় ওপর নিজ ব্রাশ করুন খেয়াল রাখুন মারি ও দাঁতের মধ্যবর্তী অংশ যেন পরিষ্কার হয়।
  6. ডেন্টাল ফ্লস- নিয়মিত ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন।
  7. লবণ- দাঁতের গর্ত দূর করতে লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করে নিতে পারেন।
  8. স্ট্রবেরি ও টমেটো- ভিটামিন সি তে পরিপূর্ণ বলে স্ট্রবেরি ও টমেটো দাঁতের জন্য ভালো। দাঁতের হলুদ ভাব পরিষ্কার করতে পাঁচ মিনিট রাখুন। এতে টার্টার নরম হবে। এবার বেকিং সোডা মেশানো হালকা গরম পানি দিয়ে কুলি করে ফেলুন। স্ট্রবেরি বা টমেটো ছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম, লেবু, পেঁপে ও কমলা লেবু ব্যবহার করা যাবে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনিরা খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন দাঁতের পাথর দূর করার উপায় - দাঁতের পাথর দূর করার ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url