আইফোনের ছবি গুগল ফোটোতে - ফ্রি ব্যাকআপ ও স্টোর

 

মোবাইলে ছবি বা ভিডিও আমরা কমবেশি সকলেই ধারণ করে থাকি। আমরা অনেকেই হয়তো জানি না আইফোনের ছবি গুগল ফটো যে ব্যাকআপ নেওয়া যায়। আইফোনের ছবি গুগল ফটো যে কিভাবে ব্যাকআপ নেওয়া যায় এবং আইফোনের ছবি গুগল ফটো যে ব্যাকআপ নেওয়ার সুবিধা গুলো আসলে কি কি সেই সম্পর্কে আসলে আমরা এ আর্টিকেলে বিস্তারিত জেনে থাকব।
আইফোনের ছবি গুগল ফটো যে ব্যাকআপ নেওয়ার বেশ কিছু প্রক্রিয়া এবং রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই আইফোনের এর ছবি গুগল ফটো তে ব্যাকআপ নেওয়া যায়।

পেজ সূচিপত্রঃ আইফোনের ছবি গুগল ফটোতে ব্যাকআপ 

গুগল ফটো  কি

অধিকাংশ মানুষ আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তাদের অধিকাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে। হাতের কাছেই স্মার্টফোনে ছবি তুলতে বা ভিডিও ধারণ করতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফোনে নিজের মত করে ছবি গুছিয়ে রাখা স্টোরেজ খালি করা কিংবা ফটো ও ভিডিও ব্যাকআপ নেওয়া বেশ ঝামেলার কাজ মনে হতে পারে। এসব ঝামেলার কাজগুলো খুব সহজ করে দিতে পারে গুগল ফটোস।


আইফোনের ছবি গুগোল ফটোতে ব্যাকআপ নিতে হলে আগে আমাদের জানতে হবে গুগল ফটো কি। গুগল ফটো হল গুগলের তৈরি একটি সফটওয়্যার যেখানে অনলাইনের মাধ্যমে ছবি রাখা এবং শেয়ার করা যায়। ২০১৫ সালের মে মাসে গুগল তাদের এই সার্ভিসটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে। গুগল ফটোস গুগলের খুব জনপ্রিয় একটি সেবা মাধ্যম। সাধারণত প্রতিটি এন্ড্রয়েড ফোনে গুগল ফটোস প্রি ইন্সটল করা থাকে।

পূর্বে ছবি বা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও সংরক্ষণ করার জন্য আলাদা ডিভাইসের সাথে ফোন কানেক্ট করে এরপর বিভিন্ন ছবি বা ভিডিও কপি করে তারপর সেগুলো ব্যাকআপ নেওয়া হতো। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে গুগল আমাদেরকে গুগল ফটোজ এর মত একটি অ্যাপস দিয়েছে যার মাধ্যমে ছবি আপলোড করে সংরক্ষণ করা এবং সেই ছবি ও ভিডিও অন্যদের সাথে খুব সহজেই শেয়ার করা যায়।

আইফোনের ফ্রি স্টোরেজ  যতটুকু

আই ফোনের ছবি গুগল ফটো যে ব্যাকআপ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের জানা উচিত আইফোনের স্টোরেজ কতটুকু। গুগলের অপারেটিং সিস্টেম যেমন অ্যান্ড্রয়েড ঠিক তেমনিভাবে আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম হল আই এস ও। আই ফোনে আপনি যখন আইক্লাউড এ সাইন আপ করবেন তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনাকে ৫ জিবি ফ্রিস্টোরেজ দেওয়া হবে। যা পরিমাণে খুব সামান্য আপনি যদি এর অতিরিক্ত স্টোরেজ নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই তা কিনে নিতে হবে এবং প্রতি মাসে 0.99 ডলার হিসাবে পেমেন্ট করতে হবে।

গুগল ফটো এর ফ্রিস্টোরেজ যতোটুকু

পূর্বে গুগল ফটোস ব্যবহার করে আনলিমিটেড হাই কোয়ালিটি ছবি ও ভিডিও ক্লাউড স্টোরেজ এর মাধ্যমে জমা রাখার সুবিধা ছিল তবে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে গুগল ফটোজ এর স্টোরেজের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হয়।


আইফোনের ছবি গুগল ফটো যে ব্যাকআপ নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি দেখতে পাবেন বর্তমানে গুগল ফটোস এর আনলিমিটেড স্টোরেজ ফিচারটি আর নেই। তারপরেও গুগল একাউন্টের সাথে বিনামূল্যে পাওয়া ১৫ জিবি গুগল ড্রাইভ ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করে গুগল ফটোজের স্টোরেজ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ গুগল ড্রাইভ এ পাওয়া ফ্রি ১৫ জিবি ব্যবহার হবে গুগল ফটোস দ্বারা জমা রাখা ছবি এবং ভিডিও সমূহের ক্ষেত্রে।

গুগল ফটো যে অতিরিক্ত ১০০ জিবি পর্যন্ত নেয়া যাবে কিন্তু তার জন্য আপনাকে প্রতি মাসে ১.৯৯ ডলার গুনতে হবে।

গুগল ফটো এর স্বয়ংক্রিয়তা

আপনি আইফোনের ছবি গুগল ফটোতে ব্যাকআপ নিয়ে আপনার যে ছবি বা ভিডিও গুলো গুগল ফটো যে জমা রাখতে চাচ্ছেন সেগুলো যদি ভিডিওর ক্ষেত্রে 1080P এর চেয়ে বড় হয় এবং ছবির ক্ষেত্রে যদি 16mp এর চেয়ে বড় হয় তাহলে গুগল ফটোস স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও সাইজ 1080P এবং ছবির সাইজ 16MP সাইজে পরিবর্তন করে ব্যাকআপ রাখতে পারে।

আইফোন বা আইপ্যাডে গুগল ফটো  ইনস্টলেশন

আইফোনের ছবি গুগল ফটোতে ব্যাকআপ নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে আইফোন  বা আইপ্যাডে গুগল ফটো ইন্সটল  করতে হবে। এটি করতে আপনি আপনার অ্যাপ স্টোরে যাবেন এবং গুগল ফটোস লিখে সার্চ করবেন। আইফোনের ছবি গুগল ফটোতে ফ্রি ব্যাকআপ পাওয়ার জন্য আইফোনের পরবর্তী সংস্করণ হওয়া আবশ্যক।

আইফোন বা আইপ্যাড থেকে যেভাবে গুগল ফটো যে ছবি ব্যাকআপ নেয়া যাবে

আই ফোনের ছবি গুগল ফটোতে ফ্রি ব্যাকআপ নেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে গুগল ফটো  অ্যাপটি আপনার ডিভাইসের লঞ্চ করুন 
এখন আপনার ইমেইল আইডিতে গুগল ফটো  অ্যাপ থেকে সাইন ইন করুন এবং ব্যাকআপ অপশন টিপ করুন
হাই কোয়ালিটি অপশনটি নির্বাচন করুন এবং কনফার্ম ট্যাপ করুন। এখন আপনার আইফোন বা আই ট্যাবের সমস্ত ছবি গুগল ফটো যে ব্যাকআপ নেওয়া শুরু হবে। আপনি যদি সব সময় ওয়াইফাই না থাকেন তাহলে মোবাইল ডাটার অপশনটি চালু করে রাখুন তার ফলে মোবাইল ডাটার মাধ্যমেও আপনি আপনার সমস্ত ছবি গুগল ফটোস এ ব্যাকআপ নিতে পারবেন। 

গুগল ফোটো কেন ব্যবহার করবেন

  • ছবি ও ভিডিও অনলাইনে ব্যাকআপ নেওয়ার পর মোবাইলে ইস্টোরেজ খালি করা যায়
  • মুভি অ্যানিমেশন অ্যালবাম সেভ ও শেয়ার করা যায় এবং তার সবকিছু এমবিডেট করা যায়
  • শক্তিশালী সার্চ ফিচার ব্যবহার করে ছবিতে থাকা বিভিন্ন বিষয় খুঁজে নেওয়া যায়।
  • খুব সহজে ফটো ভিডিও ও অ্যালবাম অন্যদের সাথে শেয়ার করা যায়
  • মেমোরি ফিচার ব্যবহার করে স্মরণীয় মুহূর্তগুলো আরো স্মরণীয় করে রাখা যায়
  • বিল্ট ইন গুগল লেন্স ফিচার ব্যবহার করে ছবিতে থাকা অবজেক্ট খুঁজে নেওয়া যায় এবং সেগুলো টেক্সট কপি করে পোস্ট এবং ট্রানসলেশন করা যায 

গুগল ফটো যে ছবি ও ভিডিও এডিট করার সুবিধা

গুগল ফটো ব্যবহার করে শুধুমাত্র ছবি এবং ভিডিও ব্যাকআপ নেওয়া যায় তাই নয় বরং গুগল ফটোস ব্যবহার করে ছবি এবং ভিডিও এডিটও করা যায়। গুগল  ফটো যে ছবি কিংবা ভিডিও এডিট করার ক্ষেত্রে ক্রপ ইমেজ এডজাস্টিং ফিল্টার মার্কআপ এর মত অসংখ্য ফিচার্স ব্যবহার করা হয়েছে।


পরিশেষে আমার ব্যক্তিগত অভিমত এই যে যেহেতু আইফোনে ফ্রি স্টোরেজ এর পরিমাণ কম সে হতো সকল অনলাইন কিংবা আইপ্যাড ইউজাররা গুগল ফটোস এর ফ্রি ১৫ জিবি এর সুবিধা নিতে পারেন এবং নানাবিধ সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। 24165

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url