ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন

ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন? এই বিষয়ে আপনার কোন ধারণা নেই? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন? এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। আপনার যদি ঘাড়ে এই ধরনের সমস্যা হয় অর্থাৎ ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন? বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

আপনি যদি ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন? না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন

ঘাড়ে টিউমার হওয়ার কারণ কি?

আমাদের অনেকের ঘাড়ে টিউমার হয় কিন্তু অনেক সময় এটি না বোঝার কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মাথা এবং ঘাড়ে ক্যান্সারের জন্য দুইটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। মাথা এবং ঘাড়ে টিউমার হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন? তা জানার আগে প্রথমে আপনাকে ঘাড়ে টিউমার হওয়ার কারণ কি? এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে হবে।

আরো পড়ুনঃ পেটের মেদ বাড়ার ১০ কারণ - অতিরিক্ত পেটের মেদ বাড়লে কি করবেন

ঘাড়ে টিউমার হওয়ার কারণ কি? তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

১। অতিরিক্ত মাত্রায় যদি তামাক গ্রহণ এবং অ্যালকোহল গ্রহণ করা হয় তাহলে এক পর্যায়ে গিয়ে মাথা এবং ঘাড়ে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২। যারা কোন ধরনের মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেন না সাধারণত তাদের ঘাড়ে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলে।

৩। জীবাণু তামাক অন্যদিকে মুখের মধ্যে মাথা এবং ঘাড়ের টিউমার হওয়ার ঝুঁকি অত্যাধিক বাড়িয়ে দেয়।

৪। যারা নিকোটিন এবং অ্যালকোহল উভয় ব্যবহার করে সাধারণত তাদের মধ্যে যারা কেবল দুইটির মধ্যে একটি ব্যবহার করে তাদের তুলনায় বেশি ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৫। মুখের মধ্যে পান ব্যবহার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি সাধারন অভ্যাস সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে মাথা এবং ঘাড়ে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং সেখান থেকে ক্যান্সার হয়ে থাকে।

ঘাড়ে টিউমার হওয়ার লক্ষণ কি - কি লক্ষণে বুঝবেন আপনার ঘাড়ে টিউমার হয়েছে

যে কোন রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ একটি রোগের লক্ষণ জেনে আমরা সেই রোগ নির্ণয় করতে পারব। তাই ঘাড়ে টিউমার নির্ণয় করার জন্য আমাদেরকে ঘাড়ে টিউমার হওয়ার লক্ষণ কি? এ সম্পর্কে প্রথমে জানতে হবে। আপনার যদি কখনো ঘাড়ে টিউমার হয়ে থাকে তাহলে কি লক্ষণে বুঝবেন আপনার ঘাড়ে টিউমার হয়েছে? তা বিস্তারিত জেনে নিন।

ঘাড়ে টিউমার হওয়ার লক্ষণ কি নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

সাধারণত কোথাও টিউমার হলে আমরা বুঝতে পারি গোল হয়ে একটি পিন্ড বের হয়ে যায়। মুখ বা গলায় একটি ঘা যার নিরাময় করে না এবং বিরক্তকর, একটি অবিরাম গলা ব্যথা, গ্যাস করতে অসুবিধা এবং ভয়েস এ একটি পরিবর্তন ঘাড়ের টিউমারের সম্ভাব্য লক্ষণ।

  • গলার সমস্যা
  • কথা বলায় অসুবিধা
  • মুখ দিয়ে রক্তপাত
  • ঘাড়ে ব্যথা
  • চোখে সমস্যা
  • মাথা ব্যথা

১। গলার সমস্যাঃ ঘাড়ে টিউমার হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ হল গলার সমস্যা দেখা দেওয়া। খাবার গিলার সময় ব্যাথা করা। ঘাড় বা গলায় অবিরাম ব্যথা। কানে ব্যথা বা কঠিন শ্রাবণ। সাধারণত ঘাড়ে টিউমার হলে এই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়।

২। কথা বলায় অসুবিধাঃ ঘাড়ে টিউমার হলে আমাদের শ্বাসযন্ত্র বা কথা বলার অসুবিধা হওয়া, সব সময় অস্বস্তির মধ্যে থাকা এবং কানে ব্যথা হওয়া। সাধারণত গলায় টিউমার হলে এই লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে প্রকাশ পায়।

৩। মুখ দিয়ে রক্তপাতঃ গলায় টিউমার হলে আরো একটি প্রধান লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায় মুখ দিয়ে মাঝেমধ্যে রক্তপাত হওয়া।

আরো পড়ুনঃ যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা

৪। ঘাড়ে ব্যথাঃ ঘাড়ের যে জায়গায় টিউমার হয়েছে সেখানে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হওয়া। এছাড়া একটি নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া আশেপাশে প্রচুর ব্যথা হওয়া ঘাড়ে টিউমারের লক্ষণ।

৫। চোখে সমস্যাঃ যেহেতু আমাদের ঘাড়ের রোগের সাথে চোখের সম্পর্ক রয়েছে তাই ঘাড়ে যদি টিউমার হয় তাহলে অনেক সময় চোখের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া উপরের দাঁতের ব্যথা হওয়া এমনকি দাঁতে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৬। মাথা ব্যথাঃ গলার টিউমার আমাদের মাথার সাথে সম্পর্কযুক্ত তাই গলাতে টিউমার হলে অবশ্যই এর লক্ষণ হিসেবে মাথা ব্যথা প্রকাশ পাবে। আশা করি কি লক্ষণে বুঝবেন আপনার ঘাড়ে টিউমার হয়েছে তা বুঝতে পেরেছেন।

ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন - ঘাড়ে টিউমার নিরাময়ের উপায়

ঘাড়ে যদি টিউমার হয় তাহলে অবশ্যই বাড়িতে বসে সময় নষ্ট করে কোন লাভ নেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের ঘাড়ে টিউমার নিরাময়ের উপায় বের করতে হবে। উপরের লক্ষণ গুলো দেখে আমাদেরকে টিউমার হয়েছে কিনা সেটি নির্ণয় করতে হবে এরপরে ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন? সেই সম্পর্কে একজন ভালো চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে এরপরে ঘাড়ে টিউমার নিরাময়ের উপায় বের করতে হবে।

মাথা এবং ঘাড়ে টিউমার এর জন্য সবচেয়ে সাধারণ চিকিৎসা হলো সার্জারি এবং বিকিরণ। এই চিকিৎসা গুলোকে কেমোথেরাপির সাথে একত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এগুলো খারাপের সাথে বা ছাড়াই ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক টিউমার সাইট নির্বিশেষে সার্জারি এবং রেডিয়েশন থেরাপির সাথে একই রকম আচরণ করে।

রোগের পছন্দ বা অবস্থান নির্দিষ্ট অসুস্থতার মতো অন্যান্য কারণগুলোকে থেরাপি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অনুমতি দেয়। নির্দিষ্ট সাইটগুলোতে, একটি পদ্ধতি স্পষ্টভাবে অন্যদের ছাড়িয়ে যায়। মাথা এবং হারে টিউমার গুলোতে এর নিরাময়ের হার রয়েছে যা ওপেন সার্জারি বা বিক্রিয়নের তুলনায় ভালো। এতে অনেক কম অসুস্থতা রয়েছে।

যদি রেডিও থেরাপি কে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় তবে এটি প্রাথমিক অবস্থানের পাশাপাশি উভয়পক্ষের সার্ভিকাল নোটগুলোতে দেওয়া হয়। থেরাপি মাথাও ঘাড়ের টিউমার যুক্ত রোগের বিশেষ্য তোর টিউমারটির ধরন এবং এটি কত বড় হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে। অনেক সময় এই টিউমার থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ঘাড়ের অথবা মাথার টিউমার নির্ণয় করার সাথে সাথেই এর চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু করতে হয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে গিয়ে টিউমারের চিকিৎসা অর্থাৎ যদি সার্জারি প্রয়োজন হয় তাহলে সার্জারি করে নেওয়া সব থেকে উত্তম। সার্জারি অনুসরণ করা যেতে পারে রাসায়নিক মিশ্র প্রয়োগে রোগ চিকিৎসা এবং বিকিরণ থেরাপি।

কিভাবে ঘাড়ে টিউমার থেকে মুক্তি পাবেন

কিভাবে ঘাড়ে টিউমার থেকে মুক্তি পাবেন? এ বিষয়টি সম্পর্কে জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই ঘাড়ের টিউমার থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারব। ঘাড়ের টিউমার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক। কারণ এখান থেকেই ক্যান্সারের উৎপত্তি হয়ে থাকে। এই রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই কিভাবে ঘাড়ে টিউমার থেকে মুক্তি পাবেন? এ সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।

থেরাপি মাথা এবং ঘাড়ের টিউমারযুক্ত রোগীদের জন্য বিশেষত টিউমারটির ধরণ এবং এটি কতটা বেড়েছে তার উপর নির্ভর করে। সাধারণ অবস্থা স্বাস্থ্য এছাড়াও গুরুত্বহীন নয়। চিকিৎসা কেবল ক্যান্সারের সাথে লড়াই করা উচিত নয়, তবে যতটা সম্ভব জীবনের মান বজায় রাখা উচিত। যদি মাথা এবং ঘাড়ের টিউমারটি এখনও ছোট থাকে তবে চিকিৎসাটি কেবলমাত্র শল্যচিকিৎসা নিয়ে গঠিত।

টিউমারের অবস্থান এবং পর্যায়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ। যদি টিউমারটি ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়ে থাকে তবে ঘাড় লসিকা নোডগুলি প্রায়শই পাশাপাশি সরানো হয়। টিউমার অপসারণের জন্য বিভিন্ন লেজার থেরাপি এখন পাওয়া যায়। সার্জারি অনুসরণ করা যেতে পারে রাসায়নিক মিশ্রপ্রয়োগে রোগ চিকিৎসা এবং বিকিরণ থেরাপি।

আরো পড়ুনঃ কোন রক্তের গ্রুপ সবচেয়ে দামি

এছাড়া এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার আমাদের অন্যতম আরো একটি মাধ্যম হলো। প্রথমে আমাদেরকে এই রোগের কারণ জানতে হবে এরপরে যে কারণে এ রোগটি আমাদের হয়ে থাকে সাধারণত সেই কারণগুলো ত্যাগ করার চেষ্টা করতে হবে। যেমন অতিরিক্ত ধূমপান করার ফলে এছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপান করার ফলে এমন সমস্যা হয়।

ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেনঃ শেষ কথা

কিভাবে ঘাড়ে টিউমার থেকে মুক্তি পাবেন? ঘাড়ে টিউমার নিরাময়ের উপায়, ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন? কি লক্ষণে বুঝবেন আপনার ঘাড়ে টিউমার হয়েছে? ঘাড়ে টিউমার হওয়ার লক্ষণ কি? ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি উপরের আলোচনা থেকে বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।

যদি আপনার খারাপ টিউমার হয় তাহলে ঘাড়ে টিউমার হলে কি করবেন? বিষয়টি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। ১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url