যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা

যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা এটি হলো আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয়। আমরা সবাই চাই যে আমাদের কিডনি ভালো থাকুক কিন্তু অনেক সময় আমাদের কিডনির সমস্যা দেখা দেয় কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে কিডনির সমস্যা হয়েছে তাই আপনার জানা প্রয়োজন কিডনি সমস্যা হয়েছে কিনা। সেজন্য যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা  হয়েছে কিনা। যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা

তাহলে চলুন আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা। যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা  এবং আপনার কিডনি ভালো আছে কিনা ও যদি আপনার কিডনিতে কোন সমস্যা হয় তাহলে কিভাবে ভালো করবেন এই সকল বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে তাই যারা এই সকল বিষয়ে জানতে চান আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

পেজ সূচিপত্রঃ যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা  

যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা  

আপনার যদি কিডনিতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা  হয়েছে কিনা। কিডনি সমস্যা হয়েছে কিনা সেটা বোঝার জন্য দুটি পরীক্ষা করতে পারেন যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা  হয়েছে কি হয়নি কিডনির সমস্যা বোঝার জন্য যে দুটি পরীক্ষা করবেন সেগুলো হল।

  • ব্লাড টেস্ট বা রক্ত পরীক্ষা
  • ইউরিন টেস্ট বা মূত্র পরীক্ষা

ব্লাড টেস্ট বা রক্ত পরীক্ষাঃ ব্লাড টেস্ট বা রক্ত পরীক্ষা করার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন আপনার কিডনিতে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা যদি আপনার কিডনিতে সমস্যা হয় তাহলে আপনার রক্তের মধ্যে সমস্যা দেখা দিবে। তাই আপনি যদি কিডনির সমস্যা বুঝতে চান বা জানতে চান তাহলে রক্ত পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ পেটের মেদ বাড়ার ১০ কারণ - অতিরিক্ত পেটের মেদ বাড়লে কি করবেন

ইউরিন টেস্ট বা মূত্র পরীক্ষাঃ কিডনির সমস্যা বোঝার জন্য আরেকটি পরীক্ষা হল ইউরিন টেস্ট বা মুত্র পরীক্ষা। তবে আপনি যদি দেখেন আপনার প্রসাবের রং চেঞ্জ হয়ে গেছে এবং প্রসাব করলে অনেক ফেনা হচ্ছে। তাহলে বুঝতে হবে এটি কিডনির কোন সমস্যা। আবার যদি দেখেন আপনার প্রসাব আগে থেকে অনেক কমে গেছে অথবা আগের থেকে অনেক ঘনঘন প্রসাব হচ্ছে তাহলে এই দুটি কারণ ও হতে পারে কিডনির সমস্যার জন্য। 

এগুলো পরীক্ষা করার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার কিডনির সমস্যা হয়েছে কিনা। আশা করছি জানতে পারলেন যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা হয়েছে কিনা। কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেটি নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের মৃত্যু হবে সেজন্য সবসময় কিডনি ভালো রাখার জন্য চেষ্টা করতে হবে। 

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় কি

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় কি অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার জন্য কয়েকটি উপায় রয়েছে সেগুলো আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন তাহলে আপনি আগে থেকে বুঝতে পারবেন আপনার কিডনি ভালো আছে না কোনরকম সমস্যা রয়েছে। কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় হল।

১। যদি দেখেন আপনার প্রসাবে কোন রকমের সমস্যা নেই প্রসাবের রঙ ঠিক রয়েছে এবং প্রসাব করার পরে অতিরিক্ত ফেনা হচ্ছে না তাহলে বুঝতে পারবেন যে আপনার কিডনি ভালো রয়েছে কোন রকমের সমস্যা হয়নি।

২। কিডনির সমস্যা দেখা দিলে পিঠের নিচের দিকে অর্থাৎ কোমরের অংশের দিকে ব্যথা হয়ে থাকে যদি আপনার পিঠের নিচের দিকে কোন ব্যথা না হয় তাহলে বুঝবেন যে আপনার কিডনিতে কোন সমস্যা হয়নি আপনার কিডনি ভালো রয়েছে। 

৩। আপনার কিডনি ভালো রয়েছে কিনা সেটি যদি আরো ভালোভাবে বুঝতে চান তাহলে একজন কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং কিছু পরীক্ষা করার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন যে আপনার কিডনি কতটা ভালো রয়েছে। 

কিডনীর রোগ বোঝার উপায় 

কিডনীর রোগ বোঝার উপায় অনেক কয়টি উপায় রয়েছে। অনেক কয়টি লক্ষণ রয়েছে যেগুলো যদি আপনি দেখতে পান যে আপনার ভিতর দেখা দিচ্ছে তাহলে বুঝতে পারবেন যে আপনার কিডনিতে কোন রোগ হয়েছে। যে লক্ষণ গুলো দেখা দিলে বুঝতে পারবেন আপনার কিডনিতে সমস্যা আছে সেগুলো হলো। 

  • প্রসাবের পরিবর্তন
  • হাত পা ফুলে যাওয়া
  • গরমে ঠান্ডা লাগা
  • প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়া
  • মনোযোগে অসুবিধা
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  • শরীরে চুলকানি হওয়া
  • মাথা ব্যথা করা

প্রসাবের পরিবর্তনঃ কিডনীর রোগ বোঝার উপায় যদি দেখেন আপনার প্রসাবের রং পরিবর্তন হয়ে লালচে বা হলুদ রঙের হয়ে গেছে তাহলে এটি হতে পারে কিডনির কোন সমস্যা। এটি যদি অনেকদিন ধরে খেয়াল করেন তাহলে কিডনির পরীক্ষা করা প্রয়োজন। 

হাত পা ফুলে যাওয়াঃ যদি দেখেন হঠাৎ করে আপনার হাত-পা কোনো কারণ ছাড়াই ভুলে গেছে এবং যদি মনে হয় যে হাতে এবং পায়ে পানি জমে গেছে তাহলে এটিও হতে পারে কিডনি সমস্যার কারনে। এরকম লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা করা যাবে না চিকিৎসা গ্রহণের চেষ্টা করতে হবে।

গরমে ঠান্ডা লাগাঃ  ঠান্ডার সময় সবাইকে ঠান্ডা লাগে কিন্তু যদি দেখেন আপনার অনেক গরমের সময় ও ঠান্ডা লাগছে বা ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে তাহলে এটিও হতে পারে কিডনি সমস্যার লক্ষণ। আর এই লক্ষণ যদি অনেকদিন ধরে আপনার ভেতর দেখেন তাহলে কিডনির পরীক্ষা করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ অনলাইন থেকে আয় করার সবচেয়ে সহজ ৪০ টি উপায়

প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়াঃ কিডনীর রোগ বোঝার উপায় এর ভেতর আরেকটি হলো প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়া যদি দেখেন আপনার প্রসাব করার পরে প্রসাবের রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে তাহলে এটিও হতে পারে কিডনি সমস্যার অন্যতম একটি লক্ষণ। এমনটি হলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। নয়তো মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। 

মনোযোগে অসুবিধাঃ যদি দেখেন কোন কাজে ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারছেন না আর এটি অনেক দিন ধরে হয়ে যাচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে যেটি কিডনির কোন সমস্যার কারণে। এমনটি অনেক দিন ধরে যদি হয় তাহলে কিডনি পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

বমি বমি ভাব বা বমি হওয়াঃ যদি প্রায় সময় আপনার বমি বমি ভাব হয় অথবা বমি হয়ে থাকে তাহলে এটিও হতে পারে কিডনি সমস্যার একটি প্রধান কারণ। আপনার যদি কিডনিতে কোনরকম সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে বেশিরভাগ সময় বমি বমিভাব হবে এবং বমি হবে। 

শরীরে চুলকানি হওয়াঃ কিডনি রোগ বুঝার আরেকটি উপায় হল হঠাৎ হঠাৎ শরীরের মধ্যে চুলকানি দেখা দিবে আর সেখান থেকে ঘা বৃষ্টি হতে পারে। যদি এমনটি হয় আপনার সাথে তাহলে কিডনি পরীক্ষা করার প্রয়োজন আপনার জন্য। 

মাথা ব্যথা করাঃ যদি দেখেন কোন কারণ ছাড়াই প্রায় বেশিরভাগ সময় মাথা ব্যথা করছে তাহলে এটিও হতে পারে কিডনি রোগের বা কিডনি সমস্যার অন্যতম একটি লক্ষণ। আর এমনটি যদি হয় তাহলে কখনোই অবহেলা করবেন না কিডনি পরীক্ষা করবেন এবং চিকিৎসা করার চেষ্টা করবেন। 

কিডনি সমস্যার সমাধান

আপনার যদি কোন রকম সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কিডনির সমস্যার সমাধান কিভাবে করবেন আপনি কি জানেন হয়তো জানেন না যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই অংশ থেকে জেনে নিন কিডনি সমস্যার সমাধান করার উপায়। কিডনি সমস্যার সমাধান করার কয়েকটি উপায় নিচে দেওয়া হল।

১। যাদের উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা রয়েছে তারা সবসময় চেষ্টা করবেন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এতে করে আপনার যদি কিডনির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তা ভালো হয়ে যাবে।

২। কিডনির সমস্যা সমাধান করতে চাইলে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।কারণ অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার কিডনিতে আক্রমণ করে থাকে।

৩। নেশা জাতীয় কোন কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত অ্যালকোহল যুক্ত খাবার খাবার ফলে কিডনির ক্ষতি হয়। 

আরো পড়ুনঃ কোন রক্তের গ্রুপ সবচেয়ে দামি

৪। কিডনির সমস্যার সমাধানের জন্য কোন পরীক্ষা নিয়ে কাজ ছাড়া কখনো ঔষধ খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ সকল প্রকার ওষুধ এর একটি সাইড এফেক্ট হয়েছে যা কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে আরো। শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মাধ্যমে ঔষধ খেতে পারবেন। 

৫। কিডনির সমস্যার সমাধান করার জন্য কিছু খাবার রয়েছে পুষ্টিকর সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন এগুলো খাবার যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে এতে করে আপনার কিডনি ভালো থাকবে। 

তবে একটা কথা মনে রাখবেন যদি আপনার কিডনির সমস্যা প্রথম প্রথম বুঝতে পারেন এবং সাথে সাথে সেটার চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন তাহলে কিডনি রোগ একেবারে ভালো করা সম্ভব। আর যদি আপনার কিডনি একেবারে নষ্ট হয়ে যায় এবং আপনি যদি সেটা চিকিৎসা গ্রহণ আগে থেকে না করেন তাহলে শেষ সময় সেই কিডনি আর কোন কিছুতেই ভালো করতে পারবেন না। 

তাই আগে থেকে সচেতন হতে হবে। আশা করছি যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা  আজকের আর্টিকেলের এই মূল বিষয় সহ সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। সব সময় নিজের যত্ন নিবেন তাহলেই সুস্থ থাকতে পারবেন। 

যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যাঃ শেষ কথা 

যে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার কিডনীর সমস্যা কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় কি কিডনীর রোগ বোঝার উপায় কিডনি সমস্যার সমাধান এ সকল বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে আশা করছি আপনারা এ সকল বিষয়ে ভালো হবে জানতে পেরেছেন। 

তারপরেও যদি এই বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন এবং এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করুন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ২৩৩৫৭ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url