গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে

 

গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে সে সম্পর্কে আপনার জানা আছে? গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে সে সম্পর্কে জানা দরকার।
গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে
গর্ভবতী নারীদের গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে আজকের পোস্টটি পড়লে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্র: গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে

ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীর ও মনে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসে। গর্ভাবস্থা একজন নারীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। অন্যভাবে বলা যায় এটি একটি নারীর জন্য কঠিন সময়। গর্ভাবস্থায় নারীদের মন কখনো ভালো থাকে আবার কখনো খারাপ থাকে। অনেক সময় শরীর খারাপ থাকে আবার ভালো ও থাকে। একজন সুস্থ মা থেকে একটি সুস্থ সন্তান হওয়া সম্ভব। তাই সুস্থ সন্তান জন্মদানের জন্য একজন মাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

সেজন্য একজন গর্ভবতী নারীকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একজন গর্ভবতী নারীর গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে সে সম্পর্কে জানা দরকার। চলুন তাহলে জেনে নিই একজন নারীর গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে

একজন নারী তার ভিতরে একটি শিশুকে মাংসপিণ্ড থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে বড় করে তোলে। এ সময় নারীদের শরীরে অনেক ধরনের পরিবর্তন আসে। শরীরের পরিবর্তন আসার পাশাপাশি নারীদের মনেও অনেক ধরনের পরিবর্তন আসে। গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরে যেসব পরিবর্তন আসে তার মূলে রয়েছে এট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন নামে দুটি হরমোন। এই হরমোন গুলোর প্রভাবেই নারীদের শরীরে গর্ভাবস্থায় পরিবর্তন আসে। প্রথমদিকে অন্তত তিন মাস বাহ্যিক অঙ্গ গুলোর পরিবর্তন বোঝা যায় না। নিচে একজন গর্ভবতী নারীর গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

গর্ভাবস্থায় শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটে

  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ সময় নারীদের বমি বমি ভাব হয় বিশেষ করে সকালের দিকে বমি হয়। এ সময় নারীরা খেতে পারেন না।
  • অনেকের ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধির বিষয়টি দেখা যায়। প্রতি মাসে অন্তত দুই কেজি করে ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবং গর্ভকালীন সময়ে ১৫ কেজিরও বেশি ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় নারীদের সামনের দিকের অংশ বেড়ে যায় এবং এর কারণে পিঠে ব্যথা করতে পারে। অনেক সময় পিঠের হাড়ে বেশি চাপ অনুভূত হয়।
  • কোন কোন ক্ষেত্রে দাঁতের মাড়ি ব্যথা হয় দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এবং ব্রাশ করার সময় দাঁতে রক্ত বের হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরে হাড়ের সংযোগস্থল ঢিলা হয়ে যায় অনেক সময় হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা অনুভূত হয়।
  • গর্ভবতী নারীদের জরায়ু বড় হওয়ার কারণে মূত্রথলিতে চাপ বেশি পড়ে এবং অনেক সময় ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ডায়াবেটিস দেখা যেতে পারে যাকে বলা হয় গর্ভকালীন ডায়বেটিস। সন্তান প্রসবের পর এই ডায়াবেটিস দূর হয়ে যায়।
  • নারীদের শরীরে ল্যাকটোজেন হরমোন নিশ্রিত হওয়ার কারণে বুকের দুধ তৈরি হয়।
  • অনেক সময় যোনিপথ দিয়ে সাদা স্রাব যেতে পারে এবং রক্তক্ষরণও হতে পারে।
  • জরায়ুর আকার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ফুসফুস অনেক সময় প্রসারিত হতে পারে না। এ কারণে অনেকের শ্বাসকষ্ট সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • গর্ভবতী নারীদের পায়ে পানি জমে পা ফুলে যেতে পারে। কারণ এই সময় শরীরে তরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
  • পরবর্তী নারীদের আয়রনের অভাবে শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় নারীদের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।
  • এ সময় অনেক নারীদের যৌন চাহিদা দেখা দিতে পারে অথবা যৌন চাহিদা কমতে পারে।
  • নারীদের শরীরে হরমোন নিঃসরণের জন্য স্তন আকারে বড় হতে থাকে এবং শিশুকে খাওয়ানোর জন্য স্তন বৃন্ত ফুলে যায়। অনেক সময় স্তনে ব্যথা অনুভব হতে পারে।
    উপরোক্ত শারীরিক পরিবর্তন গুলো গর্ভাবস্থায় একজন নারীর জন্য সাধারণ পরিবর্তন। এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো সবার ক্ষেত্রে এক নাও হতে পারে। বিভিন্ন নারীর ক্ষেত্রে এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

    গর্ভাবস্থায় মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে

    • মেজাজের পরিবর্তন: গর্ভকালীন সময়ে নারীদের মেরাজের পরিবর্তন হতে পারে। কখনো মুড ভালো থাকে আবার কখনো মন খারাপ থাকে। এক কথায় বলা যায় মেজাজ উঠানামা করতে থাকে। সবার মেজাজ এক ধরনের হয় না। কারো গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে এবং শেষের দিকে মেজাজ উঠানামা করে। এ সময় অনেকের আবেগ বেড়ে যায়। এটা সাধারণত হয় হরমোনের প্রভাবে। কেউ কেউ আবার শান্ত অবস্থায় থাকে। এই সবাই অনেকে নিজেকে অসহায় বলে মনে করেন। ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাব এমনটা হয়ে থাকে।
    • দুশ্চিন্তা হওয়া: একজন নারী যখন প্রথম গর্ভবতী হন তখন তিনি তার সন্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন। সন্তানের কোন সমস্যা হয় কিনা বা সন্তান ঠিক আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে তিনি দুশ্চিন্তা করতে থাকেন। আবার চিকিৎসকের কাছে গিয়েও সন্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে থাকেন। অনেক সময় টাকা-পয়সা এবং সম্পদ নিয়েও অনেকে দুশ্চিন্তা করে থাকেন। একজন অভিভাবক হিসেবে সন্তানের দায়িত্ব কিভাবে পালন করবেন বা এখনো সন্তানের অভিভাবকের দায়িত্ব নেবার মত সামর্থ্য হয়েছে কিনা এসব বিষয় নিয়েও অনেকে চিন্তাভাবনা করে থাকেন। এইসব সমস্যা গুলো পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন তাহলে দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে যাবে।
    • স্বপ্ন দেখা: অনেক নারীরা তার অনাগত সন্তানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে থাকেন। অনেক সময় নারীদের দুশ্চিন্তা গুলো তাদের স্বপ্নে পরিণত হয়। এই সময় নারীরা তাদের গর্ভাবস্থা নিয়ে সব সময় ভাবতে থাকেন এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলো নিয়েও ভাবতে থাকেন। গর্ভাবস্থায় এরকম সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
    • কান্না করা: গর্ভাবস্থায় অনেক নারী কান্না করে থাকেন। অনেকের প্রথম মা হওয়ার আবেগ থাকে। এ সময় নারীরা একটুতেই কান্না করে দেয়। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে নারীরা ঘনঘন কান্না করেন। বেশি কান্না করার কারণে অনেক সময় মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশি কান্না করার কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা মনে বাসা বাঁধতে পারে।
    • ভীতি বোধ করা: গর্ভাবস্থায় নারীদের মনে ভীতিবোধ বৃদ্ধি পায়। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে গর্ভপাত নিয়ে ভয় পেতে পারেন। মাঝের দিকে শিশুর বৃদ্ধি নিয়ে ভয় পেতে পারেন। শেষের তিন মাস শিশুর জন্ম হওয়া নিয়ে ভয় পেতে পারেন। এসব ভীতি নারীদের মধ্যে চলে আসে যখন তারা গর্ভবতী হয়।
    • হরমোনের পরিবর্তন হওয়া: শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে নারীরা এই সময় ক্লান্তি বোধ অনুভব করে। নারীরা অল্প কাজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। অনেক সময় শরীর খারাপ থাকার কারণে মেজাজ ও খিটখিটে হয়ে থাকে। তাই পরিবারের সদস্যরা নারীদের এই সময় সাহস যোগাবেন। নারীদের মনবল বৃদ্ধির জন্য তাদের সাথে সবসময় পজেটিভ আলোচনা করবেন।
    • ভুলে যাবার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া: গর্ভাবস্থায় নারীদের ভুলে যাওয়া প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এর প্রধান কারণ হলো এ সময় নারীরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এত চিন্তা করে যে প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস ভুলে যান। গবেষণায় দেখা গেছে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে রয়েছে প্রজেস্টেরন হরমোনের প্রভাব। অনেক সময়ই গর্ভবতী নারীদের ভালো ঘুম না হওয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    • নিজের শরীর নিয়ে চিন্তা করা: গর্ভবতী নারীরা নিজের শরীর নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। এ সময় গর্ভবতী নারীরা তাদের শরীরের পরিবর্তনগুলো নিয়ে ভাবতে থাকেন। গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরে অনেক ধরনের পরিবর্তন হয়ে থাকে। এসব পরিবর্তন নিয়ে একজন নারী চিন্তা করতে থাকে এবং অনেক সময় দুশ্চিন্তাও করতে থাকে। নিজের শরীর মোটা হয়ে যাচ্ছে এ কথাও চিন্তা করতে থাকে।
      • বিষন্নতা এবং মানসিক সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়া: গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী নারীর বিষন্নতা থেকে মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ এই সময় নারীরা তাদের অনাগত সন্তানকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা এবং বিষন্নতায় ভুগে থাকেন। অনেক সময় এসব বিষন্নতা থেকে মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় চিন্তা করতে করতে অনেক গর্ভবতী নারী মানসিক সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন। সন্তান জন্মের পর এসব বিষন্নতা এবং মানুষের সমস্যা অনেক নারীর চলে যায়। কোন কারনে সন্তান জন্মের পরও যদি মানসিক সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসার পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

      গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যাথা হলে করণীয়

      গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যাথা হলে কি করবেন তা নিয়ে আলোচনা করব। উপরে আপনারা একজন গর্ভবতী নারীর গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে সে সম্পর্কে জেনেছেন। নিচে গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো।
      • কোমর ব্যথা কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় হাঁটাচলা করা এবং সাঁতার কাটা খুব ভালো ব্যায়াম যা কোমর ব্যথা দ্রুত কমিয়ে দেয়।
      • ঘরের ভারী আসবাবপত্র সরানো থেকে বিরত থাকুন। তাহলে দেখবেন কোমর ব্যথা বেশি হবে না।
      • হাই হিল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। নরম এবং নিচু জুতা ব্যবহার করুন। এর ফলে আপনার কোমর ব্যথা হবে না।
      • কোমরে গরম এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে সেক দিতে পারেন। এতে করে আপনার কোমর ব্যথা সেরে যাবে।
      • গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথা সারাতে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন যেমন: যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন ইত্যাদি।
      • শরীরের ওজন দুই পায়ে সমান ভাবে বন্টন করুন। এর ফলে কোমরের ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
      • মার্কেটে কেনাকাটা করার সময় ব্যাগগুলো দুই হাতে ভারসাম্য অনুযায়ী রাখুন। এতে আপনার কোমর ব্যথা বাড়বে না।
      • গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যাথা সারাতে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। আপনার কোমর ব্যথা কমে যাবে।
      • বাড়ির কোন কাজ নিচু হয়ে ঝুঁকে করবেন না। যেকোনো কাজ সোজা হয়ে করার চেষ্টা করুন।
      • ঘুমানোর সময় দু পায়ের মাঝে বালিশ অথবা পিঠের নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমান। এতে করে আপনার কোমরে চাপ পড়বে কম।
      • অফিস বা অন্যান্য কাজ করার জন্য চেয়ারে বসে সোজা হয়ে কাজ করুন। এতে আপনার কোমরের ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
      • গর্ভাবস্থায় একজন নারীর অনেকটা বিশ্রামের প্রয়োজন। তাই সময় পেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম করুন।
      • গর্ভাবস্থায় কখনো কোন দিকে ঘুরতে হলে শুধু উপরের অংশটি না ঘুরিয়ে পুরো শরীরটা ঘোরানোর চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার কোমর ব্যথা কম হবে।

      গর্ভাবস্থায় শরীর দুর্বল হলে করণীয়

      গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীর অনেক সময় দুর্বল হতে পারে। এই দুর্বলতা কমানোর জন্য কি করনীয় তা নিচে আলোচনা করা হলো।
      • গর্ভাবস্থায় একজন নারীর পানি পান করতে গেলে গা গুলিয়ে ওঠে। এ সমস্যা দূর করার জন্য আপনি পানির সাথে লেবু মিশ্রিত করে খেতে পারেন। এতে আপনার মনের অভিভাবক লাগবে না।
      • সাধারণত টক জাতীয় খাবার দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই খাবারের সাথে বিভিন্ন ধরনের আচার এবং টক জাতীয় খাবার রাখতে পারেন। এসব টক জাতীয় খাবার খেলে বমি ভাবটা লাগবে না।
      • গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী নারী দুর্বলতা কাটানোর জন্য খেতে পারেন মধু। মধু দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে।
      • গর্ভবতী নারীর মাথা ব্যথায় খেতে পারেন আপেল। আপেল খেলে অনেক সময় মাথা ব্যাথা সেরে যায়। তাই দুর্বলতা লাগলে এই সময় আপেল খেতে পারেন।
      • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীদের রুচি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য পিনাট বাটার খেতে পারেন। এটা আপনার মুখের রুচি বৃদ্ধি করবে এবং সাথে সাথে দুর্বলতা কমাবে।
      • গর্ভবতী নারীরা এই সময় মুখে রুচি আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের টক জাতীয় চকলেট খেতে পারেন। তাই ঘরে রাখুন সুস্বাদু এবং টক জাতীয় কিছু চকলেট।
      উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে একজন গর্ভবতী নারী তার দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

      শেষ কথা: গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে

      প্রিয় পাঠক, একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। একজন গর্ভবতী নারীর গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে তা জানতে পারলে আপনি এসব সমস্যা থেকে মুক্তি লাভের উপায় খুঁজে পাবেন। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীর এবং মন কোনটাই সব সময় ভালো থাকে না।
      এ সময় একজন গর্ভবতী নারীকে তার পরিবারের লোকজন মানসিক সাপোর্ট দিতে হবে। তাহলেই একজন গর্ভবতী নারী শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবে। আজকের পোস্টটি পড়ে যদি আপনার উপকার হয় এবং পোস্টটি আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। পোস্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ। ২৫৭৯২

      এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

      পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
      এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
      মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

      অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

      comment url