ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত

ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত? এ বিষয়টি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফুসফুস ক্যান্সার ভালো হবে কিনা অনেকটা নির্ভর করে রোগীর খাদ্য তালিকার ওপর। ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত? সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই আর্টিকেলে ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত সে সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।

তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত

ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দিতে হবে

আমরা সকলেই জানি যে ফুসফুস ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ। ফুসফুস ক্যান্সার হলে অনেকেই ভেঙ্গে পড়ে। যদি ফুসফুস ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করা হয় তাহলে খুব সহজেই এখান থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তার জন্য ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কোন রক্তের গ্রুপ সবচেয়ে দামি

ফুসফুস ক্যান্সার চিকিৎসায় প্রচুর পরিমাণে আমিষ খেতে হবে। কারণ এগুলো আপনার শরীরকে শক্তিশালী ও চিকিৎসা জনিত কারণে শরীরের যে ক্ষতি হয় তা সারিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাহলে চলুন ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত? জেনে নেওয়া যাক।

উচ্চ শ্রেণীর আমিষের মধ্যে রয়েছেঃ

  • মাংস, মুরগির মাংস
  • ডিম
  • বাদাম
  • পনির, দুধ এবং দই
  • মাছ

আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই শাকসবজি রাখার চেষ্টা করুন। শাকসবজির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান তাই খাদ্য তালিকায় শাকসবজি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যদি ফুসফুসের ক্যান্সার নিরাময় করতে চাই। ফলের মধ্যে কমলা এবং আঙ্গুর খাবেন। ফুসফুস ক্যান্সার নিরাময় করতে হলে প্রচুর পরিমাণে তরল বিশেষ করে পানি খেতে হবে।

কাঁচা শাকসবজি বা দুধ খাবেন না। যদি খিদে না থাকে তাহলে একসঙ্গে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে খাবেন। এছাড়া ফুসফুসের জন্য রসুন এবং আদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রসুন এবং আদার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা আমাদের ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আশা করি ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত? বিষয়টি সম্পর্কে একটা ধারণা পাচ্ছেন।

যদি বমি বমি ভাব হয় তাহলে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার এবং মসলাদার খাবার খাওয়া থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। মুখে এবং গলায় সমস্যা হলে গলায় ব্যথা হলে নরম খাবার খেতে হবে এবং মসলাযুক্ত এসিড খাবার পরিহার করতে হবে। হালকা গরম পানি খেতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে তরল পানি এবং উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

আমাদের শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো ফুসফুস। অনেক সময় বিভিন্ন রোগের কারণে ফুসফুস দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যদি কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের খাবার তালিকায় রাখা হয় তাহলে ফুসফুসকে সুস্থ সবল করতে সক্ষম। সেজন্য আমাদেরকে ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

যদি কোন রোগের ফুসফুসে ক্যান্সার হয় তাহলে ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত? এই সম্পর্কে জেনে সে খাবার গুলো বেশি করে খেতে দিতে হবে তাহলে আমরা কেবলমাত্র ফুসফুস ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে পারবো।

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকাঃ

  • প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি
  • উচ্চ আমিষ জাতীয় খাবার
  • রসুন খেতে হবে
  • আপেলের উপকারিতা
  • আদা খেতে হবে
  • ডালিম খেতে পারেন

প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি - আপনি যদি ফুসফুস ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়ার উপায় জেনে নিতে হবে। তার জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি রাখতে হবে। শাকসবজির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এবং মিনারেল তাই খাদ্য তালিকায় শাকসবজি রাখা উচিত।

উচ্চ আমিষ জাতীয় খাবার - আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য উচ্চ আমিষ যুক্ত খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার বেশ কার্যকরী। তাই খাদ্য তালিকায় অবশ্যই উচ্চ আমিষ যুক্ত খাবার রাখা উচিত।

রসুন খেতে হবে - রসুনের মধ্যে যে কি পরিমানে উপকারিতা রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য তা আমরা সকলেই জানি। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিভাইরাস বৈশিষ্ট্য রয়েছে। খাদ্যে কাঁচা রসুনের ব্যবহার ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দেয় এবং ফুসফুস সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুনঃ কোন রক্তের গ্রুপ সবচেয়ে দামি

আপেলের উপকারিতা - আপেল এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। সাধারণত আপেলকে ফুসফুসের বন্ধু বলা হয়। আপেল এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ফুসফুস কে বিভিন্ন দূষণ থেকে রক্ষা করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে আপেল ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী এবং উপকারী।

আদা খেতে হবে - আদা কে একটি শক্তিশালী ভেষজ ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় প্রাচীনকাল থেকে। আদার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। আদা আমাদের ফুসফুস কে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

ডালিম খেতে পারেন - যে কোন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে ডালিম খাওয়ানো একটি বিকল্প চিকিৎসা। খনিজ ভিটামিন সমৃদ্ধ ডালিম এমন একটি ফল যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শক্তিশালী উৎস। ফসফুসের ক্যান্সার ছাড়াও আরো বেশ কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধ ডালিম কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের যা খাওয়া উচিত না

আমাদের মরণবাদী ক্যান্সার থেকে বাঁচতে হলে বেশি কিছু খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। উপরের আলোচনায় ইতিমধ্যে ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত? সে সম্পর্কে জেনেছি। সাধারণত আমরা জানি যে ক্যান্সার আক্রান্ত হলে রোগীকে কেমোথ থেরাপি দেওয়া হয়। এখন আমরা ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের যা খাওয়া উচিত না সে সম্পর্কে জানব।

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের যা খাওয়া উচিত নাঃ

১। ফ্রিজে রাখা খাবার ক্যান্সার রোগের জন্য ক্ষতিকর। তাই ফ্রিজে রাখা খাবার খাওয়া থেকে অবশ্য বিরত থাকতে হবে।

২। অতিরিক্ত তেলে ভাজা কোন ধরনের খাবার অর্থাৎ মশলার জাতীয় খাবার যেমন সিঙ্গারা সমুচা খাওয়া যাবেনা।

৩। খাদ্য সংরক্ষণে ফরমালিন নিষিদ্ধ হয়েছে অনেক আগে। তবে বিভিন্ন রকমের প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা খাবার থেকে অবশ্যই ক্যান্সার রোগীকে দূরে থাকতে হবে।

৪। বারবিকিউ জাতীয় খাবার অর্থাৎ যেসব খাবার সরাসরি আগুনে পুড়িয়ে তৈরি করা হয় সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ফুসফুস ক্যান্সার চিকিৎসা খরচ

ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসার সাফল্যের হার প্রধানত বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার কতটা উন্নত, এটি কী ধরনের এবং আপনার অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা আছে কিনা। আপনার ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর আপনার ডাক্তার আপনাকে অন্তত কয়েক বছর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেন। আপাতত, ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসার সাফল্যের হার প্রায় ৯৭%।

ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয় এবং আপনার অস্ত্রোপচারের জন্য আপনি যে হাসপাতাল এবং ডাক্তার চয়ন করেন তার উপর নির্ভর করে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উচ্চ রোগীর সন্তুষ্টি রেটিং সহ একটি হাসপাতাল নির্বাচন করা বাঞ্ছনীয়।

আরো পড়ুনঃ কোন ভাইরাসের জন্য জন্ডিস রোগ হয়

  • পরীক্ষার খরচ - INR ৩০,০০০ থেকে INR ১ লাখ
  • কেমোথেরাপি খরচ - প্রতি সেশন/সাইকেলে INR ১৩,০০০ থেকে INR ৩০,০০০
  • লক্ষ্যযুক্ত/ইমিউনোথেরাপি - INR ২ লাখ থেকে INR ৪ লাখ
  • রেডিয়েশন থেরাপি খরচ - INR ৬০,০০০ থেকে INR ৪ লাখ
তথ্য সংগ্রহঃ adotrip.com

আমাদের শেষ কথাঃ ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা, ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের যা খাওয়া উচিত না, ফুসফুস ক্যান্সার চিকিৎসা খরচ, ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি ফুসফুসে ক্যান্সার এর রোগী হন তাহলে অবশ্যই আপনার এই বিষয়গুলো জানা উচিত।

আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি ফুসফুসে ক্যান্সারের রোগীদের কি কি খাবার দেওয়া উচিত? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url