কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি

 

কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি এ সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। অনেকেই আছেন যারা কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি এ সম্পর্কে জানতে চান এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকেন কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি এ সম্পর্কে জানার জন্য।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চিনির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি তাই কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি এ সম্পর্কে জানার আগ্রহ সবার রয়েছে। আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়লে কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি

ভূমিকা

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চিনির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। বাজারে সাধারণত দুই ধরনের চিনি পাওয়া যায় একটি হলো সাদা চিনি এবং অপরটি হল লাল চিনি। অনেক সময় আমরা বাজারে চিনি কিনতে গেলে বুঝতে পারিনা কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি। লাল যে চিনিটা মাঝে মাঝে বাজারে দেখা যায় ওটাই আসল আখের চিনি। কিন্তু মানুষ এই চিনি পছন্দ করে না কারণ সাদা ধবধবে চিনি দেখতে অনেক সুন্দর। অনেকের মনে এই প্রশ্ন এসে থাকে কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য। তাই আর বিলম্ব না করে চলুন কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি এ সম্পর্কে জেনে নিন।

কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি

আমরা অনেকেই ক্যাফে বার রেস্তোরায় গেলে সাদা চিনি এড়িয়ে চলি। চিনির দরকার হলে ব্রাউন সুগার চেয়েনি আবার অনেকেই চিনি কিনলে সাদা চিনির পরিবর্তে ব্রাউন সুগার কিনছি। আর সাথে ভাবছি স্বাস্থ্যের অপকার কম হবে আবার আমরা আমাদের পরিবারকে স্বাস্থ্যকর চিনি খাওয়াচ্ছি। কিন্তু বিষয়টা একেবারেই তা নয়। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে সাদা চিনি বা বাদামি চিনি দুটোতেই কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ সমান। তাই আমরা অনেক সময় দ্বিধায় পড়ে যাই যে কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি। চলুন তাহলে কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমেই বলি বাদামি চিনি বা ব্রাউন সুগার হলো কাঁচা বা লো সুগার। সেখানে সাদা চিনি বা টেবিল সুগার হলো রিফাইন সুগার। চিনি কিভাবে তৈরি হয় সকলেরই জানা তবুও বলি আখের রস বের করে তাকে ফুটিয়ে চিনি তৈরি করা হয়। প্রাথমিকভাবে যে তিনি তৈরি হয় তার রং হয় বাদামি বা লালচে। সেটাই হলো ব্রাউন সুগার নামে পরিচিত। ব্রাউন সুগারের মধ্যে মোলাসেস থাকে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের উপকার করে। সামান্য কিছু পুষ্টিগুণ ও থাকে। কিন্তু বাদামি চিনির তুলনায় সাদা চিনিতে মোলাসেসের পরিমাণ অন্তত কম থাকে। ফলে ব্রাউন সুগারকে মোলাসেসর কারণে বেছে নেওয়া যায়।

এবার জানি রং এর পার্থক্য। বাদামী চিনি বা ব্রাউন সুগার অনেক কম রিফাইন করা ফলে এই চীনের মধ্যে থাকা ক্রিস্টালের মাপ অনেক বড় সাদা চিনির ক্রিস্টালের তুলনায়। সেই কারণে এই চিনির চেহারা অনেক বেশি অর্গানিক এবং রং টাও বাদামী। তাই বলা যেতেই পারে সাদা তিনি অপেক্ষায় লাল চিনি খাওয়া ভালো।

সুস্থ থাকতে হলে কোনটি খাবেন সাদা চিনি নাকি লাল চিনি 

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে শর্করা জাতীয় খাবার থাকে তাতে যে পরিমাণ চিনি থাকে তা আমাদের দেহে কোন খোঁজ যে রূপান্তরিত হয়। পরে দেহে তা শক্তি উৎপাদন করে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চিনি গ্রহণ করলে দেহের জন্য তা ক্ষতিকর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে ঝকঝকে মিহি দানার চিনির বদলে মোটা দানার লাল চিনি গ্রহণ করায় ভালো বলে মত দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরট। ঝকঝকে মিহিদানার এই চিনির আকর্ষণীয় প্যাকেটে বাজারজাত করার কারণে ক্রেতাদের বেশি টানে।
অন্যদিকে দেশে তৈরি আখের চিনি স্বাস্থ্যকর হলেও এটি দেখতে লালচে এবং আদ্রতা বেশি। যার কারণে ক্রেতারা এটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে না। কিন্তু দেশীয় চিনিকলে উৎপাদিত চিনি তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এবং শিশু খাদ্য হিসেবে উপযোগী। আগ থেকে উৎপাদিত দেশি চিনিতে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ১৬০ দশমিক ৩২, যা পরিশোধিত চিনিতে ১ দশমিক ৫৬ থেকে ২ দশমিক ৬৫ ভাগ। পটাশিয়াম দেশি চিনিতে ১৪২ দশমিক ৯ ভাগ, পরিশোধিত চিনিতে শূন্য দশমিক ৩২ থেকে ০.৩৫ ভাগ। ফসফরাস দেশি চিনিতে ২ দশমিক ৫ থেকে ১০ দশমিক ৭৯ ভাগ আর পরিশোধিত চিনিতে ২ দশমিক ৩৫ ভাগ। এসব কারণে বিশেষজ্ঞরা এখন দেশে উৎপাদিত লাল কে চিনি খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন।

চিনির ক্ষতিকর দিক

যারা মিষ্টি জাতীয় খাবার বিশেষ করে চিনি পছন্দ করেন তারা আজকেই এটিকে না বলুন। কেননা এখন থেকে সতর্ক না হলে পরবর্তীতে ভবিষ্যতে নানা রকম ক্ষতি হতে পারে আপনার। চিনি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য একেবারে বিশেষ সমতুল্য এর পাশাপাশি ক্যান্সার, হৃদরোগ ও স্থূলতাকে ত্বরান্বিত করে এই পদার্থ। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চিনির ক্ষতিকর দিকগুলো।
চিনির ক্ষতিকর দিক-
  1. অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে লিভারের চারপাশে অতিরিক্ত চর্বির একটি স্তর তৈরি হয়। এর ফলে লিভারের আকৃতির পরিবর্তনসহ লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  2. চিনি বেশি খেলে শরীরে ক্যান্সার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
  3. গবেষণায় দেখা গেছে একজন মানুষ যদি দৈনিক তিনি থেকে ১৫০ ক্যালোরি গ্রহণ করে তাহলে তার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় ১.১ শতাংশ।
  4. বেশিরভাগ চিনি খেলে রক্তের প্রবাহে পরিবর্তন হয় ফলে হার্ট ফেল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চিনি আপনার রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি করতে পারে।
  5. অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়, যার কারণে স্মরণশক্তিও কমে আসে।
  6. অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে আপনার ত্বকের খুব দ্রুত বলিরেখা পড়তে শুরু করে।

উপসংহার

আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমাদের সঠিক জিনিস গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু যিনি আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পদার্থ। তাই এ সম্পর্কে সতর্ক অবলম্বন করতে হবে। তবে একটি বিষয় সব সময় মনে রাখতে হবে কোন কিছু অতিরিক্ত ভালো নয় তেমনি চিনি পরিমাণ মতো গ্রহণ করতে হবে বেশি গ্রহণ করলে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর বয়ে আনবে। সাধারণত সাদা চিনির থেকে লাল চিনে আমাদের জন্য বেশি উপকারী।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন কোন চিনি খাওয়া ভালো সাদা চিনি নাকি লাল চিনি এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে সবার মাঝে শেয়ার করুন এবং তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url