কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত

 কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত? তা জেনে নিলে পরিমাণ অনুযায়ী শর্করা জাতীয় খাবার খেতে পারবেন। কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত, তা নিচে উল্লেখ করা হবে। আসুন দেখে নেয়া যাক, কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত?

পেজ সূচিপত্র: কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত

ভূমিকা

শরীরে সব ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। শর্করা জাতীয় খাবার খেলে তা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেয়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে যদি আপনি শর্করা জাতীয় খাবার খান সে ক্ষেত্রে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। 

তাই কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত তা জেনে নিয়ে পরিমিত পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত, সে বিষয়ে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো। 

কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত

মানুষের প্রয়োজনীয় পুষ্টির সিংহভাগ চাহিদা পূরণ করে শর্করা। আর এ কারণেই আপনার দৈনন্দিন খাদ্যের তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার থাকতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার যদি আপনার খাবার তালিকায় না থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় পড়তে পারেন। 

অনেকেই ডায়েট কন্ট্রোল করতে গিয়ে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শর্করা খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেয়। এ ধরনের কাজ করলে তা অবশ্যই আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হবে। খাদ্য তালিকা থেকে কতটুকু পরিমাণ শর্করা জাতীয় খাবার বাদ দেওয়া যাবে, এবং কতটুকু শর্করা জাতীয় খাবার অবশ্যই রাখতে হবে এর একটি স্ট্যান্ডার্ড মান রয়েছে। 
একজন মানুষের দৈনন্দিন শর্করার চাহিদা মোট ৩০০ গ্রাম। তবে আপনি যদি ডায়েট কন্ট্রোল করেন সে ক্ষেত্রে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ গ্রাম করা যেতে পারে। এর থেকে কম শর্করা জাতীয় খাবার খেলে আপনার শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

পুষ্টিবিদদের পরামর্শ হচ্ছে দৈনিক গ্রহণকৃত মোট ক্যালরির ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শর্করা থাকতে হবে। এর চেয়ে কম শর্করা গ্রহণ করলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে। সুতরাং খাদ্য তালিকা থেকে শর্করার পরিমাণ কমাতে চাইলে অবশ্যই সতর্কতার সহিত করতে হবে। 

শর্করা জাতীয় সবজির তালিকা

কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত? তা ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর্টিকেলটির এই অংশে শর্করা জাতীয় সবজির তালিকা তুলে ধরা হবে। আপনি যদি নিম্ন বর্ণিত খাদ্যগুলো গ্রহণ করেন তাহলে তা আপনার শরীরের শর্করার চাহিদা পূরণ করবে। শর্করা জাতীয় সবজির তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো।
  • আলু: আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা জাতীয় উপাদান। আলু শর্করার অন্যতম একটি উৎস। আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় আলু রাখেন সেক্ষেত্রে তা আপনার দৈনন্দিন শর্করার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। 
  • ভুট্টা: ভুট্টা শর্করার আরেকটি অন্যতম প্রধান উৎস। আপনি যদি ভুট্টা খেতে পারেন, তাহলে তা আপনার শরীরে শর্করার চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। পপকর্ন খাওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার শরীরের শর্করা জাতীয় খাবারের চাহিদা পূরণ করতে পারেন। 
  • ডাল: আপনি যদি আপনার খাবার তালিকায় প্রতিদিন ডাল রাখেন, তাহলে আপনাকে আলাদাভাবে আর কোন শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ না করলেও চলবে। কেননা ডালে প্রচুর পরিমাণে শর্করা বিদ্যমান রয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন অন্যান্য খাবারের সাথে ডাল খায় সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সেই ডাল তার দৈনন্দিন শর্করার চাহিদাপূরণ করবে। 
  • স্কোয়াশ: স্কোয়াশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা জাতীয় উপাদান। তাই আপনি যদি মাঝে মাঝে স্কোয়াশ খান তাহলে তা আপনার শরীরের শর্করার ঘাটতি পূরণ করবে। আর এ কারণেই অন্যান্য সবজির সাথে স্কোয়াশ খাওয়া ভালো।
  • মিষ্টি কুমড়া: মিষ্টি কুমড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শর্করা রয়েছে। শর্করা ছাড়াও মিষ্টি কুমড়াতে আরো অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই আপনি যদি সব ধরনের পুষ্টি উপাদান একই সাথে পেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য মিষ্টি কুমড়া হতে পারে আদর্শ সবজি। অন্যান্য যে কোন সবজির তুলনায় মিষ্টি কুমড়া অনেক কম দামে পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি অল্প টাকার মধ্যে শর্করাসহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে চান সে ক্ষেত্রে নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।
  • গাজর: গাজর খেতে অনেকেই পছন্দ করে। গাজরের সালাদ, গাজরের তরকারি সহ বিভিন্নভাবে গাজর খাওয়া যায়। সালাত জাতীয় সুস্বাদু এই সবজিটি শর্করার অন্যতম একটি উৎসব। তাই আপনি যদি গাজর খান সেক্ষেত্রে তা আপনার শরীরে শর্করার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। 
  • কলা: কলাতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে শর্করা জাতীয় উপাদান রয়েছে, তাই মাঝে মাঝে কলা খাওয়া ভালো। বিশেষ করে ক্লান্ত অবস্থায়, অর্থাৎ কোন কাজ করার পরে যদি আপনি কলা খান সেক্ষেত্রে খুব দ্রুত তা আপনার শরীরকে রিকভার করে পুনরায় কর্মক্ষম করে তুলবে। 
  • শালগম: শালগম শর্করার আরেকটি উৎস। শালগমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। তাই অন্যান্য যে কোন সবজির সাথে অল্পমাত্রায় শালগম মিশ্রিত করে তরকারি রান্না করলে তা আপনার দৈনন্দিন শর্করার চাহিদা পূরণ করতে পারবে।
  • ছোলা: ছোলা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই আপনি যদি ছোলা খান সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি পাবেন। ছোলাতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে। তাই অন্যান্য পুষ্টির সাথে তা আপনার শরীরের শর্করার চাহিদা পূরণ করবে। রাত্রে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা ছোলা খেলে তা শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকার করে। তাই আপনি এই পদ্ধতিতে ছোলা খেতে পারেন। তবে চাইলে আপনি ছোলা ভুনা করেও খেতে পারেন। এক কথায় ছোলা যে কোনভাবে খেলেই তা আপনার শরীরের জন্য উপকার বয়ে আনবে। 
  • মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। আর এ কারণে মাঝে মাঝে মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে খাওয়া উচিত।

শর্করা জাতীয় খাদ্যের কাজ কি

শর্করা জাতীয় কাজ সাধারণত শরীরের পুষ্টির যোগান দেয়। আর এ কারণেই শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করা অপরিহার্য। আপনি যদি পরিমিত পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার না খান সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে না। আর শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পেলে আপনি ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। 

কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত? তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই নিয়ম অনুসরণ করে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার খেতে হবে। আপনি যদি পরিমিত পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাবার খান তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে এবং ওজন কমাতে পারবেন। 
অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাদ্য খেলে তা আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করবে। , পক্ষান্তরে আপনি যদি শর্করা জাতীয় খাবার একেবারেই ছেড়ে দেন তাহলে, আপনার শরীরকে দুর্বল ও নিস্তেজ করে ফেলবে। তাই শর্করা জাতীয় খাদ্য খাওয়ার ব্যাপারে ব্যালেন্স করে চলতে হবে। 

শেষ কথা

কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত? সে বিষয় সম্পর্কে ইতিমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। তাই আপনি যদি, উপর উল্লেখিত তথ্য মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন আশা করি উপকৃত হতে পারবেন। এই আর্টিকেলটিতে উল্লেখিত তথ্যগুলো আশা করি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে সকলের সাথে প্রয়োজনীয় এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url