পুরুষের জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে

পুরুষের জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে, তা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে পড়তে হবে। নিচে পুরুষের জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে, সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তো আসুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, পুরুষের জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে?

পেজ সূচিপত্র: পুরুষের জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে

উপস্থাপন 

পুরুষদের জন্য বিভিন্ন রকম জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি রয়েছে। পুরুষের জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে, তা জানার জন্য নিম্ন বর্ণিত তথ্য গুলো পড়তে থাকুন। আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। তো আসুন দেখে নেই, পুরুষের জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে? সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। 

পুরুষের জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে

পুরুষদের জন্য যে সকল জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই পুরুষদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি সমূহ সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন বর্ণিত তথ্য গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তো আসুন দেখে নেই, পুরুষের জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে? 

কনডম: পুরুষেরা সব থেকে বেশি যেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে থাকে সেটি হলো: কনডম। জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি হিসেবে কনডম ব্যবহার করার অনেক সুবিধা ও উপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি কনডম ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে খুব সহজেই নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এবং যদি আপনি সন্তান নিতে চান সেক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার না করলেই চলবে। 

অর্থাৎ কনডম ব্যবহার করাটা হলো অস্থায়ী এবং তাৎক্ষণিক একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। আপনি যদি অন্যান্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে শুধু জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। সেগুলো কিন্তু আপনাকে যৌনবাহিত রোগ থেকে নিরাপদ রাখবেনা। পক্ষান্তরে জন্ম নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কনডম ব্যবহার করলে আপনি সব ধরনের যৌন রোগ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন। 
আর এ কারণেই ডাক্তারগণ জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য কনডম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আপনি যদি অন্যান্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ও গ্রহণ করেন এরপরেও যৌনবাহিত রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে হলে অবশ্যই আপনাকে কনডম ব্যবহার করতে হবে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো কনডম ব্যবহার করা। 

ভ্যাসেকটমি: পুরুষদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার আরেকটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হল ভ্যাসেকটমি। ভ্যাসেকটমির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়। অর্থাৎ ভ্যাসেকটমি অপারেশন করলে পরবর্তীতে আপনার আর কোন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে না। কেননা ভ্যাসেকটমি হল স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। 

উইথড্রয়াল মেথড: কোন ধরনের ব্যবস্থা না গ্রহণ না করেই যদি আপনি জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার জন্য উইথড্রয়াল মেথড পদ্ধতিটি গুরুত্বপূর্ণ। এই পদ্ধতিতে কোন ধরনের ঔষধ সেবন না করেই বা অন্য কোন সরঞ্জামাদি ব্যবহার না করেই জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। উইথড্রয়াল মেথড হল যোনিতে বীর্যপাত না করা। অর্থাৎ সহবাস করার সময় যোনির বাইরে বীর্যপাত করা। এই পদ্ধতিতেও জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। 

হরমোনাল কন্ট্রাসেপশন: পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই হরমোনাল কন্ট্রাসেপশনের ব্যবস্থা রয়েছে। হরমোনাল কন্ট্রাসেপশন পদ্ধতিতে পদ্ধতি গ্রহণ করে নিরাপদ থাকা যায়। বিভিন্ন পদ্ধতিতে আপনি হরমোনাল কন্ট্রাসেপশন করতে পারবেন। হরমোনাল কন্ট্রাসেপশন পদ্ধতি গ্রহণ করার অন্যতম মাধ্যম হল পিল খাওয়া। 

কন্ট্রাসেপশন জেল: জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহের মধ্যে অন্যতম আরেকটি পদ্ধতি হল কন্ট্রাসেপশন জেল ব্যবহার করা। অর্থাৎ বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কন্ট্রাসেপশন জেল পাওয়া যায়। আপনি যে কোন একটি ভাল মানের কন্ট্রাসেপশন জেল ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। মনে রাখবেন কন্ট্রাসেপশন জেল সহবাস করার অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে ব্যবহার করতে হবে। 

বার্থ কন্ট্রোল পিল: চাইলে আপনি বার্থ কন্ট্রোল পিল খাওয়ার মাধ্যমেও জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।এটা হলো মূলত এক ধরনের হরমোনাল বাট কন্ট্রোল পদ্ধতি। নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের জন্য বার্থ কন্ট্রোল পিলপাওয়া যায়। 

বার্থ কন্ট্রোল ইনজেকশন: বার্থ কন্ট্রোল ইনজেকশন গ্রহণ করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনি নিরাপদ থাকতে পারবেন। তাই চাইলে আপনি বার্থ কন্ট্রোল ইনজেকশন গ্রহণ করতে পারেন। বিভিন্ন মেয়াদের বার্থ কন্ট্রোল ইনজেকশন রয়েছে। কিছু কিছু বার্থ কন্ট্রোল ইনজেকশন রয়েছে যেগুলো ১০ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত কার্যকরী। 

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কত ধরণের হয়ে থাকে

পুরুষের জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে? বিষয় সম্পর্কে ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। নিচে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। বিভিন্ন ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে। সাধারণত জন্ম নিয়ন্ত্রণের যে সকল পদ্ধতির রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। 
তাই আপনি যদি জানতে চান যে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কত ধরণের হয়ে থাকে? তাহলে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। চলুন দেখে নেয়া যাক, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কত ধরণের হয়ে থাকে? 
  • ব্যারিয়ার মেথড: জন্মনিয়ন্ত্রণের যে সকল পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি পদ্ধতি হল ব্যারিয়ার মেথড। এই পদ্ধতিতে বীর্য কোনোভাবেই জরায়ুতে প্রবেশ করতে পারে না। যেহেতু বীর্য জরায়ুতে প্রবেশ করতে পারে না তাই গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না। অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণের কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে ব্যারিয়ার মেথড ব্যবহার করে থাকেন। নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যারিয়ার মেথড অন্যতম উদাহরণ হলো: কনডম। কেননা কনডম ব্যবহার করলে বীর্য জরায়ুতে প্রবেশ করতে পারে না। 
  • হরমোনাল মেথড: জন্মনিয়ন্ত্রণের আরেকটি অন্যতম পদ্ধতি হলো হরমোনাল মেথড। হরমোনাল মেথড গ্রহণ করলে সেগুলো বীর্যকে নষ্ট করে ফেলে। অর্থাৎ বীর্য ডিম্বাশয়ে প্রবেশ করার পূর্বে সেগুলোকে অকার্যকর করে ফেলে। যেহেতু বীর্য ডিম্বাশয় প্রবেশ করতে পারে না এবং ফার্টিলাইজ হতে পারে না এ কারণে গর্ভধারণ হয় না। বিশেষ করে নারীরা জন্মনিয়ন্ত্রণের কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে হরমোনাল মেথড ব্যবহার করে থাকে। 
  • ইমপ্ল্যান্ট: ইমপ্লান্ট হলো এক ধরনের ব্যারিয়ার মেথড। কেননা ইমপ্লান্ট এর সাহায্যে যোনীতে বিশেষ একটি বস্তু প্রতিস্থাপন করা হয়। এর ফলে যৌন মিলনের সময় বীর্য ডিম্বাশয়ের সাথে মিলিত হতে পারে না। আর তাই গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না। অনেকেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইমপ্ল্যান্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। 
  • এমার্জেন্সি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি: কখনো কোন কারণবশত যদি নিরাপদ ভাবে যৌন মিলন করা হয় সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব এমার্জেন্সি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়। এটিও এক ধরনের হরমোনাল জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। 
  • প্রাকৃতিক পদ্ধতি: কোন ধরনের ঔষধপত্র ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবেও জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। যেমন আপনি যদি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র সেইফ পিরিয়ডে যৌন মিলন করতে হবে। আপনি যদি সেইফ পিরিয়ডে যৌন মিলন করেন সেক্ষেত্রে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়াও উইড্রোয়াল পদ্ধতিতে সহবাস করলেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। 

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা কি

পুরুষের জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে? আশা করি সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার বেশ কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ করলে যে সকল সুবিধা পাওয়া যায় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। 

এর পাশাপাশি জন্মনিয়ন্ত্রণের যে সকল অসুবিধা রয়েছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হবে। তো আসুন তাহলে দেখে নেই, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা কি? সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। 

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সুবিধা সমূহ: 
  • অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ রোধ করে। 
  • ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ে সহায়তা করে। 
  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে শারীরিক উপকার সাধন করে। 
  • যৌনবাহিত রোগ থেকে রক্ষা করে। 
  • ক্ষেত্রবিশেষে মাতৃ মৃত্যুর আশঙ্কা রোধ করে। 
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির অসুবিধা সমূহ: 
  • ঔষধের ক্ষতিকরপার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। 
  • সংসারের খরচ বৃদ্ধি পাওয়া। 
  • স্বাস্থ্য ঝুঁকি। 
  • স্বাভাবিক যৌন জীবন ব্যাহত হওয়া। 
  • গর্ভধারণের ক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়া। 

উপসংহার

পুরুষের জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে? আশা করি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পেরেছেন। কেননা পুরুষদের যাবতীয় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি আশা করি আপনার ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url