হাফেজ হওয়ার ফজিলত - হাফেজ হওয়া কি ফরজ

আমরা বেশিরভাগ মুসলমানরা রয়েছি যারা হাফেজ হওয়ার ফজিলত সম্পর্কে জানিনা। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই হাফেজ হওয়ার ফজিলত সম্পর্কে জানতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হাফেজ হওয়ার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট হাফেজ হওয়ার ফজিলত গুলো জেনে নেওয়া যাক। বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ হাফেজ হওয়ার ফজিলত - হাফেজ হওয়া কি ফরজ

হাফেজ হওয়ার ফজিলত - হাফেজ হওয়া কি ফরজ

যারা কোরআন মাজীদকে মুখস্ত করে ফেলে সাধারণত তাদেরকে কোরআনের হাফেজ বলা হয়। বাংলাদেশে অসংখ্য কোরআনের হাফেজ রয়েছে। আমরা অনেকেই হাফেজ হওয়ার ফজিলত সম্পর্কে জানিনা আবার অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি হাফেজ হওয়া কি ফরজ? কোরানের হাফেজ কারীগণ পবিত্র ফেরেশতাদের শ্রেণীভুক্ত হয়ে থাকে। হাদীস কোরআন হাফেজ হওয়ার ফজিলত উল্লেখ করা হয়েছে। হাফেজ হওয়া কি ফরজ তার নিচে উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ পেটের মেদ বাড়ার ১০ কারণ - অতিরিক্ত পেটের মেদ বাড়লে কি করবেন

হাফেজদের দ্বিগুণ সওয়াব হয়ে থাকে - আম্মাজান হযরত আয়েশা রাঃ বলেন, নবীজি সাঃ বলেছেন, "কোরআনের হাফেজ, যিনি সব সময় কোরআন তেলাওয়াত করেন তার তুলনা লেখার কাজে নিয়োজিত পবিত্র সম্মানিত ফেরেশতাদের মত। অতি কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি বারবার কোরআন তেলাওয়াত করে তার পুরস্কার দ্বিগুণ।"{বুখারী}

হাফেজ গণ আল্লাহ তায়ালার পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হন - নবীজি সাঃ বলেছেন, " নিশ্চয়ই মানুষদের থেকে আল্লাহর কত পরিবার রয়েছে, তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল তারা কারা? তিনি বললেন, তারা আহলে কোরআন, আল্লাহর পরিবার ও তার বিশেষ ব্যক্তিবর্গ।"{ ইবনে মাজাহ} কোরআনুল কারীমের হাফেজ আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত।

শয়তান থেকে বাড়ি নিরাপদে থাকে - আমরা জানি যে যারা সবথেকে বেশি কোরআন তেলাওয়াত করে থাকে। সাধারণত তাই কোরআনের হাফেজদের বাড়িতে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না। তাদের বাড়ি এবং ঘর শয়তান থেকে নিরাপদ থাকে।

জান্নাতের সুসংবাদ ও সুপারিশ - যে হাফেজ কোরআন যাবিত জীবনে হালাল-হারাম মেনে চলে তার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, " যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করবে ও একে হেফজ করবে এবং তার যাবতীয় হালাল বিষয়কে হালাল ও হারাম বিষয়কে হারাম মেনে চলবে, আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন শুধু তাই নয় তার পরিবারের এমন দশ ব্যক্তি ব্যাপারে তার সুপারিশ কবুল করবেন যারা জাহান্নামে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত হয়েছে।"{ তিরমিজিঃ ২৯০৫}

একজন হাফেজ কি ৭০ জন নিয়ে যেতে পারে

আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে অনেকেই একজন হাফেজ কি ৭০ জন নিয়ে যেতে পারে? এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। আমরা সকলেই জানি যে কোরআন হাফেজদের অনেক ফজিলত রয়েছে। তাদের মর্যাদা পৃথিবীতে অনেক বেশি শুধু পৃথিবীতে নয় তাদের মর্যাদা আখিরাতেও অন্যান্যদের চাইতে অনেক বেশি হবে। কিন্তু একজন হাফেজ কি ৭০ জন নিয়ে যেতে পারে? এই কথাটি কতটুকু সত্য জেনে নেওয়া যাক।

যে হাফেজে কোরআন যাবিত জীবনে হালাল-হারাম মেনে চলে তার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, "যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করবে ও একে হেফজ করবে এবং এর যাবতীয় হালাল বিষয়কে হালাল ও হারাম বিষয়কে হারাম মেনে চলবে, আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। শুধু তাই নয়, তার পরিবারের এমন ১০ ব্যক্তির ব্যাপারে তার সুপারিশ কবুল করবেন, যারা জাহান্নামে যাওয়ার উপযুক্ত হয়েছে।" {তিরমিজিঃ ২৯০৫, ইবনে মাজাহ}

হাফেজ হওয়ার গল্প

হাফেজ হওয়ার গল্প শুনে আমরা অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়। কারণ অনেকেই ছোট বয়সেই আল্লাহ তায়ালার কোরআন মাজীদ এর হাফেজ হয়ে যান। হাফেজ হওয়ার গল্প গুলো অনেক অনুপ্রাণিত হয়ে থাকে। নিচে বিশ্বজয়ী হাফেজ আবু রাহাতের হাফেজ হওয়ার গল্প সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরা হলো।

হাফেজ আবু রাহাত সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার পইজুরি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। বাবা রমজান আলী সরদার একজন মুদি দোকানি। তার বাবা স্বপ্ন দেখতেন তার ছেলে একজন বড় আলেম এবং হাফেজ হবেন সেই স্বপ্ন থেকেই ভর্তি করেন হাফেজি মাদ্রাসায়।

প্রথম পর্যায়ে শেষ করে বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আবু রাহাতের লেখাপড়ার মনোযোগ ও আকর্ষণ। মাত্র নয় মাসেই পবিত্র কুরআনুল কারিমের পরিপূর্ণ হাফেজ হয়ে যান তিনি। ২০২০ সালে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা পিএইচপি কুরআনের আলোয় প্রথম স্থান অধিকার করে।

সে সময় থেকেই বাংলাদেশের কোটি কোটি কুরআনপ্রেমী মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেন আবু রাহাত। তিনি বিশ্বমানের আলেম হয়ে ইসলামের শান্তি ও সুন্দরের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বর্তমানে রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছেন।

তার শিক্ষকগণ তার বিষয়ে বলেন, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ গড়ার সাধনা করে যাচ্ছে। দেশবাসীর দোয়ায় আমাদের এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ এর অধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন রাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে।

বাংলাদেশে এরকম অনেক হাফেজ রয়েছে যারা দেশের বাইরে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলো সালহে আহমেদ তাকরিম। এরকম অসংখ্য হাফেজ রয়েছে যারা প্রতি বছর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান দখল করে আসছে।

সংগ্রহঃ যুগান্তর

কুরআনের মর্যাদা আল কাউসার

পৃথিবীতে কোরআনের মত মর্যাদা পূর্ণ বই আর একটাও নেই। আপনি কি কুরআনের মর্যাদা আল কাউসার সম্পর্কে জানতে চান? আমরা ইতিমধ্যেই হাফেজ হওয়ার ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করেছি। যারা কুরআন মাজীদকে সম্মান করে তাকে মুখস্ত করে তাদের মর্যাদা আল্লাহতালা বৃদ্ধি করে দেন। কুরআনের মর্যাদা আল কাউসার যে উল্লেখ করা হলো।

কুরআন মজীদ গোটা বিশ্ব মানবতার জন্য আল্লাহ তাআলার মহা নেয়ামত। ইনসান ও ইনসানিয়্যাতের মুক্তি ও সফলতা এই মহা নেয়ামতের যথাযথ মর্যাদা দানের মাঝেই নিহীত। ইতিহাস সাক্ষী, যেদিন থেকে মুসলিম জাতি কুরআন মজীদের সাথে ওয়াফাদারি ছেড়ে দিয়েছে সেদিন থেকেই তাদের অধঃপতনের সূচনা হয়েছে।

কুরআনের শব্দ ও মর্ম দুটোই স্বয়ং আল্লাহ তাআলা কর্তৃক প্রেরিত। কুরআন মজীদের প্রতিটি শব্দের রয়েছে আলাদা মাহাত্ম। আর দশটা গ্রন্থের মতো এখানে শুধু মর্মই উদ্দেশ্য নয়। আর এ কারণেই না-বুঝেও কুরআন মজীদের তেলাওয়াত করলেও ছওয়াব হয়। এ বৈশিষ্ট্য একমাত্র কুরআন মজীদের। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে, আরবী পাঠ ছাড়া শুধু অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।

প্রত্যেক মসজিদে শিশুদের কুরআন শিক্ষার এমন ব্যবস্থা করা যাতে ধনী-গরীব সকলের সন্তানই অংশগ্রহণ করতে পারে। এখানে একটি লক্ষণীয় বিষয় হল বিশেষত শহরের মসজিদগুলোতে কোথাও কোথাও এ ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে দেখা যায় একান্ত গরীব কিংবা খুব বেশি হলে মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরাই শুধু অংশগ্রহণ করে।  ধনীরা তাদের  সন্তানকে সেখানে পাঠাতে লজ্জা বা অসম্মান বোধ করেন।

আরো পড়ুনঃ শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায়

প্রতি মসজিদে বয়স্কদের কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ যারা সময়মতো কুরআন পড়া শিখেননি এবং এখন কর্মব্যস্ততার কারণে তা করছেন না বা করতে পারছেন না তাদের জন্য এ কোর্সের ব্যবস্থা করা। এ কাজে অনেকে তো নিজ থেকেই শরীক হবেন। কিন্তু যারা শরীক হবেন না তাদেরকেও বুঝিয়ে সুজিয়ে শরীক করতে হবে।

প্রত্যেক মসজিদে কাতারের ফাঁকে ফাঁকে কুরআন মজীদ রাখার জন্য রেকের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে নামাযের আগে দুই চার মিনিট সময় পেলে বা নামাযের পর  যেকোনো সময়ই যে কেউ সহজেই তেলাওয়াত করার সুযোগ পায়। মাঝে মধ্যে কুরআনের মুহাববত, কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব ফযীলত ইত্যাদির উপর ব্যাপক আকারে মাহফিল বা সাধারণ মজলিস ও আলোচনাসভার আয়োজন করা যেতে পারে।

হাফেজ হওয়ার নিয়ম

হাফেজ হওয়ার নিয়ম রয়েছে। আপনি চাইলেই হাফেজ হতে পারবেন না। এর কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং পথ রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করে আপনাকে একজন হাফেজ হতে হবে। হাফেজ হওয়ার ফজিলত সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি এখন হাফেজ হওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিন।

হাফেজ হওয়ার নিয়মঃ

  • নাজেরা
  • সবক
  • সাত সবক
  • আমুখতা
  • সবিনা

নাজেরাঃ নাজেরা শব্দের অর্থ হচ্ছে দেখে দেখে পড়া। নাজেরার ছাত্ররা সবার আগে পবিত্র কোরআনকে একদম সহীহও ভাবে দেখে শেখার চেষ্টা করে। এই ক্লাসের নামই হচ্ছে নাজেরা বিভাগ। এখানে অভিজ্ঞ শিক্ষকগণ দেখে দেখে কুরআন শিক্ষা দেন।

তাজবীদ সম্পর্কে সঠিক ও স্বচ্ছ ধারণা দেন। এ বিভাগ থেকে ছাত্রদেরকে দ্রুত পড়ার জন্য তাগাদা দেওয়া হয়। কেননা অল্প সময়ে হাফেজ হওয়া নির্ভর করে নাজেরা বিভাগের উপর।

সবকঃ সবক শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রথমবার যে পড়াটা মুখস্ত করা হয়। আরো সহজ কথায় বললে, সবক হচ্ছে নতুন পড়া। এই সবক পড়ার নির্ধারিত সময় হচ্ছে মাগরিবের পর থেকে নিয়ে এশা পর্যন্ত। এজন্য অনেক মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদে এশার নামাজ একটু বিলম্বে পড়া হয়।

যেন ছাত্ররা সুন্দর করে সবক শেষ করতে পারে। আর এই সবক ছাত্ররা ভোররাতে অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সময় ওঠে ওস্তাদকে শুনিয়ে দেয়। হাফেজ হওয়ার নিয়ম হাফেজ হওয়ার নিয়ম

সাত সবকঃ সাত সবক শব্দের অর্থ হচ্ছে নতুন করে যে সবক গুলো পড়া হয়েছে সেগুলো নিয়মিত পড়ে আবার নিয়ম করে শুনানো। তবে হাফেজে কুরআনের যেহেতু ২০ পৃষ্ঠায় ১ পারা হয়। তাই অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকের জন্য ২০ পৃষ্ঠা করে শোনানো অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে নিয়ম করে অন্তত ৭ পৃষ্ঠা শুনিয়ে অন্য পাড়া যেতে হয়।

আমুখতাঃ এটি হচ্ছে সাত সবক এর আগের পড়াগুলো। যেগুলো সবক এবং সাত সবক পড়া শেষ করা হয়েছে। এগুলো নিয়ম করে ওস্তাদকে দশ পৃষ্ঠা করে দৈনিক শোনাতে হয়। আর এটার জন্য সময় দুপুর ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত। এরপর আর আমুখতা শোনা হয় না। কেননা পিছনের পড়া পড়তে ওস্তাদগণ তাগিদ দিয়ে থাকেন।

সবিনাঃ সাবিনা হচ্ছে সাপ্তাহিক একটি পড়ার অনুষ্ঠান। যেদিন যার যত পাড়া মুখস্থ করা হয়েছে সেটা সারাদিনে একে অপরকে শোনাবে। কেননা এত গুলো ছাত্রের এত গুলো পড়া শোনা সম্ভব নয়। এজন্য শিক্ষক দুজনকে নির্বাচন করে দিবে আর তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একে অন্যকে পালাক্রমে শোনাবে।

হাফেজ নিয়ে উক্তি

হাফেজ নিয়ে উক্তি করে থাকে অনেকে। আপনি যদি হাফেজ নিয়ে উক্তি করতে চান তাহলে আপনার জন্য নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উক্তি যেগুলো আল্লাহ তা'আলা এবং আমাদের প্রিয় নবী সাঃ বলে গেছেন সেগুলো উল্লেখ করা হলো।

১। কোরআনের হাফেজ মুমিনদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত। কেননা রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, "নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।" {সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৫০২৮}

আরো পড়ুনঃপেটের মেদ বাড়ার ১০ কারণ - অতিরিক্ত পেটের মেদ বাড়লে কি করবেন

২। রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন, "তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো। কেননা তা কিয়ামতের দিন তার ধারকের জন্য সুপারিশকারী হবে।" {সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৩০২}

৩। হাফেজরা সর্বশ্রেষ্ঠ বাণী কোরআনের ধারক। আল্লাহ তাআলা বলেন, "আল্লাহর চেয়ে বেশি সত্যবাদী কে?" {সুরা নিসা, আয়াতঃ ৮৭}

৪। কোরআন পরকালে মুক্তির উপায় হবে, তেমনি তা বিপদেরও কারণ হবে। এ জন্য মহানবী সাঃ বলেন, "কোরআন সাক্ষী হবে তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে।" {সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ২২১}

আমাদের শেষ কথাঃ হাফেজ হওয়ার ফজিলত - হাফেজ হওয়া কি ফরজ

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে হাফেজ হওয়ার ফজিলত, হাফেজ হওয়া কি ফরজ? হাফেজ নিয়ে উক্তি, হাফেজ হওয়ার নিয়ম, কুরআনের মর্যাদা আল কাউসার, হাফেজ হওয়ার গল্প, একজন হাফেজ কি ৭০ জন নিয়ে যেতে পারে? এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। কারণ পরিবারে একজন হাফেজ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যার অনেকগুলো ফজিলত রয়েছে এবং আল্লাহ তায়ালা যার মর্যাদা অনেক করে থাকেন যা ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। ২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url